Image description

মার্চ মাসের প্রথম দিকে ‘নো আদার ল্যান্ড’ চলচ্চিত্র নির্মান করে অস্কার জেতেন ফিলিস্তিনি নির্মাতা হামদান বল্লাল। ওই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছিল ইসরাইলি বর্বরতা ও পাশবিক নির্যাতনের জীবন্ত গল্প। বদলা নিতে হামদানকে তুলে নিয়ে গেল নেতানিয়াহুর পিশাচ বাহিনীরা। তার উপর শুরু হয় অমানবিক অত্যাচার।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই নির্যাতনের ভয়াবহতা তুলে ধরেন নির্মাতা। ফিলিস্তিনি এই নির্মাতা জানান, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবস্থিত সুসিয়া গ্রামে নৃশংস অভিযান চালায় ইসরাইলি সেনারা, এই সময় তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় ইসরাইলি বাহিনীরা। এরপর তাকে পশ্চিম তীরের সামরিক ঘাঁটিতে ফেলে রাখা হয়। দিনের পর দিন চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। তবে তিনি একা নন, তার সঙ্গে আরও দুজনের উপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল। তার চোখ বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এরপর বরফের ঠান্ডা হিমঘরে তাদের বন্দি করে রাখা হয়।

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হামদান। চোখের পানি মুছে বলে ওঠেন, ‘সারারাত ঠাণ্ডায় কাতরাচ্ছিলাম। সেই ঘরে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। চারিদিক অন্ধকার। হাত পা বেঁধে দেয়ার কারণে সেখান থেকে নড়তে পরাছিলাম না। তীব্র শীতের চোটে জ্ঞান হারায়। যখন জ্ঞান ফেরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছি আমি। এক ফোঁটা বস্ত্র নেই গায়ে। ইসরাইলি সেনারা আমার এমন অবস্থা দেখে হাসাহাসি করছিল। মুখে বুটের লাথি মেরে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়। সারা শরীরে ব্যাপক আঘাতের চিহ্নসহ রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে থাকি।’

উল্লেখ্য, লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অস্কারের ৯৭তম আসরে হামদান বল্লালসহ আরও তিন নির্মাতা অস্কার জেতেন। সেই তথ্যচিত্রে তারা ইসরাইলি দখলদারিত্বের মুখে ফিলিস্তিনিদের জীবন সংগ্রামের চিত্র ফ্রেমবন্দি করেন তারা। যা মোটেও ভাল চোখে দেখেনি গনহত্যাকারী নেতানিয়াহু সরকার।

যে দিকে তাকানো যায় ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই নেই। গাজার বুকে জীবনের গল্প পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে। এখানে স্বপ্ন দেখা বারণ। প্রতি মুহূর্তে তাড়া করে বেড়াচ্ছে মৃত্যু যন্ত্রণা। কেউ জানে না আগামীকাল সূর্যের মুখ দেখতে পাবে কিনা। নেতানিয়াহু সরকারের নির্দেশে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল পৈশাচিক সেনারা। বাদ পড়ছে না অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল হাসপাতাল এমনকী নিষ্পাপ শিশুদের স্কুলও।