Image description

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন করের চাপে হাঁসফাঁস অবস্থা ভারতের। এসবের মধ্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্প, ওয়াশিংটন এবং ভারতের মধ্যে শুল্ক আলোচনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন। বলেছেন যে, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন খুবই বুদ্ধিমান মানুষ।"

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি (আমেরিকায়) এসেছিলেন, আমরা সব সময়ই খুব ভালো বন্ধু।" এরপরেই প্রেসিডেন্টের খোঁচা, "ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ হারে শুল্ক আদায় করা দেশগুলির মধ্যে একটি।" সঙ্গে বলেন, "মোদি খুব বুদ্ধিমান মানুষ। আমাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি, ভারত ও আমাদের দেশের জন্য এর ফলাফল খুব ভালো হবে।"

আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারত-সহ একাধিক দেশের রপ্তানিজাত পণ্যের উপর চড়া হারে পারস্পারিক শুল্ক আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে আমদানিকৃত যানবাহনের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করা হয়েছে। তার একদিন পরই ট্রাম্পের এই বিবৃতি বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প পারস্পরিক উচ্চ শুল্কের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন ফেব্রুয়ারিতে। বলেছিলেন যে, "আমরা শীঘ্রই পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করব। যে হারে শুল্র অন্য দেশ আমাদের উপর আরোপ করবে, আমরাও তাদের উপর একই হারে শুল্র আরোপ করব। ভারত বা চিনের মতো কোনও সংস্থা বা দেশ যেই করুক না কেন, আমরা ন্যায্য বিনিময় চাই, তাই এই পারস্পরিক শুল্ক আরোপ হবে।" 

প্রধানমন্ত্রী মোদি ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসি সফর করেছিলেন এবং ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সারেন। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ছিল মোদির এই মার্কিন সফর।

এই সফরে, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ন্যায্যতা, জাতীয় সুরক্ষা এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করার সংকল্প নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন - 'মিশন ৫০০'। এর লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে মোট দ্বিপাক্ষিক পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা।