
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। প্রাকৃতিক পরিবেশের আদলে নকশা করা মসজিদটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি দেখলে অবাক হবে যে কেউ। মধ্যপ্রাচ্যের আদলে গড়া মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী এতই অনন্য যে, এটি এখন খুবির অন্যতম আকর্ষণ।
এ মসজিদজুড়ে আছে অজস্র ইসলামিক ঐতিহ্যবাহী জ্যামিতিক নকশা। ১৫ হাজার বর্গফুটের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি এখন খুলনার সবচেয়ে বড় মসজিদ। তবে এরচেয়ে বড় বিষয়, এ মসজিদে নেই কোনো এয়ার কন্ডিশনার। প্রাকৃতিক বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা থাকায় এর ভেতরটা সবসময়ই শীতল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বর হয়ে কটকা যেতেই হাতের ডান পাশে চোখে পড়বে চোখধাঁধানো মসজিদটি। তিন হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে এখানে।
মসজিদটি স্থাপন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক মাঝে। সামনে আছে তিনটি হল। পাশে রয়েছে লাইব্রেরি এবং খুবির এক ও তিন নম্বর একাডেমিক ভবন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদের সিনিয়র ইমাম ও খতিব মুফতি আদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা হলো মসজিদটিকে আরও সুন্দর করা।
এখান থেকে যেন ইসলামের সঠিক শিক্ষা সবাই পেতে পারে সে জন্য উপাচার্য স্যার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মসজিদটি মুখর থাকে। ত্রিশটি কাতারে তিন হাজারেরও বেশি মুসল্লি দাঁড়াতে পারেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আবদুল কাদির ভূঁইয়া ২০০৩ সালে মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
স্থাপত্যের তৎকালীন শিক্ষক মুহাম্মদ আলী নকী মসজিদটির প্রাথমিক নকশা করেন। তবে ভিত্তির কাজ শুরুর পর আর নির্মাণকাজ এগোয়নি। পরবর্তীতে সদ্য সাবেক উপাচার্য মসজিদের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরুর পর নকশার কিছুটা পরিবর্তন আনেন। এক একর জায়গা জুড়ে সুবিশাল মসজিদটি ২০২১ সালে ২৮ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়।
এর অদূরেই রয়েছে ছাত্রদের তিনটি হল—খানজাহান আলী, খানবাহাদুর আহছানউল্লা এবং বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হল। উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে ১, ২, ৩ নং একাডেমিক ভবন এবং কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।
যাযাদি