
ফ্রান্সকে সন্ত্রাস বিস্তারের হাতিয়ার বলে অভিহিত করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিশ্বে ‘সন্ত্রাসবাদ বিস্তারে’ রাশিয়ার ভূমিকার অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স নিজেই সন্ত্রাসীদের বিস্তারের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে’।
রুশ কূটনীতিক আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ কখন, কোথায় এবং কারা সংঘটিত করছে তা নির্বিশেষে, মস্কো সর্বদাই সব ধরণের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করে আসছে’।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ সময় ইরানের পারমাণবিক আলোচনায় চীনের সঙ্গে দেশটির উপস্থিতিকে অপরিহার্য বলেও বর্ণনা করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক ঘোষণায় বলেছেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য তেহরানের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যদিও ট্রাম্প নিজেই তার প্রথম মেয়াদে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি, যেটি জেসিপিওএ নামে পরিচিত, তা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে জাখারোভা বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বলেন, জেসিপিওএ’র ভাগ্য এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টার সম্ভাবনা রাশিয়া এবং চীনের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্ধারণ করা যাবে না। আর অবশ্যই বাইরে থেকে তাদের নির্দেশ দেওয়া যাবে না’।
রুশ কূটনীতিক আরও বলেন, ইরানের পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য মস্কো প্রস্তুত।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউরোপে রাশিয়ার সম্পদ জব্দ থাকবে এবং মস্কো যদি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে দেশটির ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এই বিবৃতিতে ২৭টি ইউরোপীয় দেশের নেতারা আবারও ইউক্রেনের প্রতি তাদের ‘দৃঢ় সমর্থন’ জানিয়ে ঘোষণা করেছেন, তারা ইউক্রেনকে সামরিক, আর্থিক এবং মানবিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবেন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ইউরোপীয়দের এই সতর্কবার্তা এমন সময় এলো, যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ইউরি উশাকভ বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা ২৪ মার্চ রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ইউক্রেনীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ১৭৫ জন রুশ সৈন্যকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মস্কোও ১৭৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি এবং গুরুতর আহত ২২ জন ইউক্রেনীয় সৈন্যকে কিয়েভে ফিরিয়ে দিয়েছে।