
সংখ্যাটা নেহাত কম নয়; দেশে মোট ভোটার যেখানে ১২ কোটি ৩৭ লাখ, সেখানে ভোটার হওয়ার যোগ্য প্রবাসীর সংখ্যা এক কোটির বেশি।
আর এই কোটি প্রবাসীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সম্ভাব্য যে ‘প্রক্সি’ পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে, সেখানেই ঝুঁকি দেখছেন বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে এই ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতি চালুর বিষয়ে তৎপর হয়েছে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
কমিশন বলছে, প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে বলেছেন, সেভাবে প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাইলে প্রক্সি ভোটিংয়েই যেতে হবে।
সেই পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে এপ্রিলের প্রথমার্ধে বিশেষজ্ঞ ও কারিগরি টিমের সঙ্গে ওয়ার্কশপ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দলের মতামতও নেওয়া হবে।
অংশীজনদের সম্মতি পেলে আইন বিধি সংশোধন, অ্যাপ তৈরিসহ কারিগরি কাজ গুছিয়ে আগামী আট-নয় মাসের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চায় ইসি।
প্রক্সি ভোট হল, একজনের ভোট তার মনোনীত আরেকজন দেবেন। অর্থাৎ, প্রবাসী তার ভোটদানের ক্ষমতা আরেকজনের কাছে হস্তান্তর করবেন কোনো একটি নির্বাচনের জন্য।
তবে এ পদ্ধতিতে যে ঝুঁকি আছে, সে কথা কমিশনও স্বীকার করছে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রক্সি ভোটের যাতে ‘অপব্যবহার’ না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগটি ‘ভালো’, কিন্তু প্রক্সি কে হতে পারবেন তার একটি সীমা বেঁধে দিতে হবে।
আর বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর বলছেন, পোস্টাল ভোটিং একটা কিছু হলেও হতে পারে। কিন্তু অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিংয়ের অপব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
প্রক্সি ভোট কীভাবে
প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার জন্য তিন ধরনের পদ্ধতির কথা প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে। ১. পোস্টাল ভোট, ২. অনলাইন ভোট এবং ৩. প্রক্সি ভোট।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর ভাষায়, পোস্টাল ব্যালটে ভোট এখন ‘অচল’। অনলাইনে ভোটেও ‘জটিলতা’ রয়েছে। তিনটি পদ্ধতির মধ্যে ‘প্রক্সি ভোট’ নিয়ে এপ্রিলের শুরুতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে ইসি।
“এরপর বসা হবে রাজনৈতিক দল এবং অন্য অংশীজনদের সঙ্গে। সবার সম্মতি পেলে এবং সিস্টেম ডেভেলপ করা সম্ভব হলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ছোট পরিসরে চালু করা হবে প্রক্সি ভোট।”
এ পদ্ধতিতে প্রবাসী যারা ভোটে দিতে চান, তারা প্রথমে একটি অ্যাপে ফেইশল রিকগনিশনের মাধ্যমে নিবন্ধন করবেন। তারপর প্রি-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করবেন। তার পক্ষে যিনি প্রক্সি ভোট দেবেন, তার এনআইডি ও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে ওই রেজিস্ট্রেশনের সময়।
যিনি প্রক্সি ভোট দেবেন, তিনি নিজেও ভোটও দিতে পারবেন। এটা হবে অনেকটা ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’র মত বিষয়।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, “প্রবাসীরা বিদেশে বসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং উনার পক্ষে একজনকে (তার নির্বাচনি এলাকার) নির্ধারণ করে দিতে পারবেন প্রক্সি ভোটার হিসেবে।”
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সঙ্গে জানিয়ে দেবে, কারা কারা প্রক্সি ভোট দেবেন। তাদের জন্য আলাদা ভোটার তালিকার প্রয়োজন পড়বে না।
• প্রবাসে রয়েছেন ১ কোটি ৩৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি; তাদের মধ্যে প্রায় কোটি নাগরিক ভোটার হতে পারেন।
• ভোট দিতে হলে ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে।
• এনআইডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
• অ্যাপে গিয়ে প্রক্সি ভোটার নির্বাচন করতে হবে।
• বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
বিশ্বাসের সংকট
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম মনে করেন, যিনি দেশে প্রক্সি ভোট দিচ্ছেন, তিনি প্রবাসীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন কিনা, তা নিশ্চিত করাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
“ধরুন, আমি যাকে প্রক্সি হিসেবে অ্যাপয়েন্ট করব, সে যে আমার পছন্দ মত ভোট দেবে কোনো গ্যারান্টি নেই। আমাদের দেশে একই ফ্যামিলিতে একজন এক্স পার্টি করে, একজন ওয়াই পার্টি করে।
“এখন যে ভদ্রলোক এক্স পার্টির সমর্থক, সে তার ভাই ওয়াই পার্টির সমর্থক বা ফ্যামিলি কাউকে প্রক্সি নিয়োগ করল। সে হয়ত ভোট দিয়ে দিল ওয়াই পার্টিকে। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা।”
ঝুঁকি
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে বড় অবদান রেখে চলা প্রবাসীদের যে ভোটাধিকার থাকা উচিত, সে বিষয়ে কোনো ‘সন্দেহ নেই’ কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের। তবে কীভাবে তা নিশ্চিত করা হবে, তা নিয়ে তার প্রশ্ন আছে।
“প্রথমে আমরা শুনলাম, ডিরেক্টলি অনলাইনে বিদেশে থেকেই তারা ভোট দিতে পারবেন। সেটা একটা প্রসেস, কিন্তু সেটার যথেষ্ট রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। সাইবার সিকিউরিটি, লুপহোলসগুলো পূরণ করার বিষয় রয়েছে।”
অনলাইন ভোটের বদলে যদি প্রক্সি ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, সেখানেও ঝুঁকি দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “এ প্রক্সি নির্বাচন পদ্ধতিটা যেন অত্যন্ত ফেয়ার হয়, ব্যক্তি যেন ইনডিপেনডেন্টলি সে চয়েসটা করতে পারে। যাকে উনি চয়েস করছেন, তার (প্রবাসীর) সম্মতিতে যেন চয়েসটা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”
আব্দুর রাজ্জাকের মতে, এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকা চলবে না।
“থার্ড কোনো এনটিটি এসে যেন এটা ঠিক করতে না পারে যে, এই ৫০ জনের প্রক্সি হবেন উনারা। এজন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা আমরা দেব, করব। এর মাধ্যমে আরেকটা কোহোর্টিং যেন না হয়। সেটি হওয়ার সম্ভাবনা যেসব পদ্ধতিতে আছে, সে ব্যাকডোরগুলো সব বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট সিস্টেম যেন ইমপ্লিমেন্টেড হয়।”
প্রক্সি কে হবেন?
অধ্যাপক রাজ্জাকের মতে, প্রক্সি কে হতে পারবেন তারও একটি শর্ত ঠিক করে দেওয়া প্রয়োজন।
“ধরুন, আমার বাড়ি যদি হয় ঢাকায় এবং রমনা থানার ভোটার হই, এখন আমার পরিচিত, অপরিচিত যে কোনোভাবে যদি রাঙামাটির একজনকে চুজ করি যে উনি আমার প্রক্সি দেবেন। এর ভিত্তি কী? সেটারও একটা সীমা থাকতে হবে।”
কে প্রক্সি হতে পারবেন, কে প্রক্সি হতে পারবেন না- এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে ইসিকে এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আবেগের জায়গাটা গ্রহণীয়। কিন্তু বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আমাদের ইমপ্লিমেন্টেশনের পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এর পেছনে যে টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করবে, তাদেরকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে এ বিষয়টা মেনটেইন করতে হবে।”
‘ভোটের ফল যেন প্রভাবিত না হয়’
এক থেকে দেড় কোটি প্রবাসী ভোটারের সংখ্যাও অধ্যাপক রাজ্জাকের ভাবনার একটি বড় কারণ।
তিনি বলেন, “কোটি ভোটার অনেক বড় অংক, (ফল) পরিবর্তন করে দেওয়ার মত ক্যাপাসিটি ওই পপুলেশনের রয়েছে। এ জন্য যথোপযুক্ত প্রক্রিয়া মেনটেইন করে সামনে আগাতে হবে।”
সে কারণে প্রক্সি ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই তাদের যাচাই করার একটি ব্যবস্থাপনা চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।
প্রক্সি ভোটে গেলেও শুরুতে তা ছোট পরিসরে বাস্তবায়নের পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, “সময় স্বল্প, কিন্তু যথোপযুক্ত রিসোর্স যদি এখানে ডেপ্লয় করা হয়, সব কিছু ওপেন না করে শুরুর দিকে একটা লিমিটেড স্কেলে যদি হয়…।
“যতদূর সেইফ, সিকিউরড, ইমপ্লিমেন্টেবল মনে করব, ততদূর যেতে হবে। কারণ এর সাথে বাস্তবতার মিল রেখে আমাকে এগোতে হবে। এটা টেনিক্যালি ভায়াবল।”
‘রক্ষক যেন ভক্ষক না হয়’
অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র, শিক্ষক হিসেবে আমি বলতে পারি না অনলাইন সিস্টেমে দিলে (ভোট নিলে) এটা অনেক এনোমালিস হবে। এটা আমি সরাসরি বলতে পারি না। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে জানেন প্রতি পদে পদে রক্ষক ভক্ষক হয়ে দাঁড়ায়। সব জায়গায়। কাজেই আমাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ সতর্কতা অবলম্বন করে আগাতে হবে।”
তিনি বলেন, বাস্তবায়নের টেকনিক্যাল টিমে যারা থাকবেন, সব ক্ষেত্র থেকে তাদের রাখতে হবে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
“সিকিউরিটি, প্রাইভেসি ও ডেটাবেজের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যথোপযুক্তভাবে যেন ইমপ্লিমেন্টেশন হয়, কমপ্রিহেনসিভ টিম থাকবে, জবাবদিহিতা থাকবে, অভিজ্ঞ ও সব ধরনের লোকবল সম্পৃক্ত করতে হবে।”
‘অপব্যবহারের’ ভয়
প্রক্সি ভোট বাংলাদেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করছেন না বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তফা আকবর।
তিনি বলেন, “আমি যাকে প্রক্সির জন্য নির্বাচন করব, সে আমার পছন্দ মত ভোট দেবে কিনা… এটা খুব একটা ভালো মনে হল না।”
প্রক্সি ভোটের ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি তো মনে করি প্রবাসী ভোট একটা বিতর্কিত বিষয়।”
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এই শিক্ষক বলেন, যারা তিন চার বছরের বেশি সময় ধরে প্রবাসে আছেন, দেশে কী ঘটছে না ঘটছে তার প্রকৃত চিত্র তার কাছে নাও থাকতে পারে।
“সে হয়ত বুঝল অমুককে ভোট দাও, সে রিয়েল পিকচার না দেখে বলছে আমি অমুককে ভোট দেব। বাইরে থেকে অনুধাবন করাটা খুব ডিফিকাল্ট। ভেতরে থেকে অনুধাবন করাটা নরমাল।”
প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এটা করাই উচিত না। আমার কাছে অ্যাবসার্ড একটা ব্যাপার বলে মনে হয়। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়াটা বরং রিজনেবল। আমার মতে সশরীর ভোট দেওয়া ভালো। দেশে এলে পরিস্থিতি দেখে ভোট দিতে পারে। কিন্তু অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিং– এসবের মিসইউজ হবে।”
চ্যালেঞ্জ যেখানে
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, অনলাইন ভোটিংয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্য যে ব্যবস্থা লাগে, বর্তমানে ইসির হাতে তা নেই। আর পোস্টাল ব্যালট ‘অকার্যকর’ হয়ে গেছে।
“সেজন্য নতুন সিস্টেম আমাদেরকে রিভাইজ করতে হচ্ছে। আশা করি এটাতে আমরা সাকসেসফুল হব।”
ভোটের গোপনীয়তা কীভাবে রক্ষা করা হবে, সেই প্রশ্নে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এটা নিয়ে আমরা ব্যাপক আলোচনা করেছি। কাউকে না কাউকে, একজন ব্যক্তিকে তো আস্থায় নিতে হচ্ছে। আমরা এ বিষয়টায় ডিবেট করেছি। ধরেন আমি একজন প্রবাসী, আমার ভাই বা বন্ধুকে বললাম আমার হয়ে ভোটটা দিতে, আমি বললাম আমি অমুক প্রতীকে ভোটটা দিতে চাই। সে ভোটটা দিতে গিয়ে সে প্রতীকে ভোট দিল না। এই এতটুকু রিস্ক থেকেই যায়।”
তিনি বলেন, একজন প্রবাসী যখন তার প্রক্সি ঠিক করবেন, সেই আস্থার জায়গা আছে– এমন কাউকেই তার বেছে নিতে হবে।
প্রক্সি ভোটার নিকট আত্মীয় হতে হবে– এমন শর্তের কথা ভাবা হলেও পরে সেখান থেকে সরে এসে প্রবাসীর পছন্দের ওপরই ছেড়ে দিতে চাইছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, “আমরা এ পর্যন্ত যেটা প্রপোজ করছি, এটা ব্যক্তির চয়েস। নিকটাত্মীয় দিলে দেখা যাবে আমাদের অপশনটা লিমিটেড হয়ে যাবে। নিকটাত্মীয়র সংজ্ঞাও তৈরি করে দিতে হবে। পরে আমরা সেখান থেকে সরে এসে চাইছি, উনিই নির্বাচন করবেন কাকে (অধিকার) দেবেন।”