Image description
 

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সহযোগ সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে বিভিন্ন মেয়াদে নতুন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে তাদের এ রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও দীপু মনিকে চার দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

 

এদিন তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে তদন্ত কর্মকর্তারা। রিমান্ড শুনানি করতে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে পিটিশন দাখিল করলেও শুনানি করেননি। পরে তাদের প্রত্যেকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

 

মামলার অভিযোগ জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ির কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড শুনানও করেন। তিনি বলেন, এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা অ্যান্ট্রি টেররিজম ইউনিট তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে সুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করলেও সাদেক খানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

 

তিনি কিছু বলবেন কি না জানতে চান আদালত। তখন সাদেক খান, আমি ওইখানে ছিলাম না। আর গুলি পাবো কোথায়। এসময় আইনজীবী তাকে তামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে জবাবে তিনি বলেন, আমাকে তো আদালত কথা বলতে বলেছেন।

 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত বছরের ১৯ জুলাই অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করা হয়।