Image description

ভারতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর নতুন টার্গেট হয়েছে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার। বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ হুমকি দিয়েছে, যদি এটি সরিয়ে না নেওয়া হয়, তবে বাবরি মসজিদের মতো পরিণতি হবে। তাদের দাবি, আওরঙ্গজেবের মাজার ভারতীয় ইতিহাসের পরাধীনতা ও নৃশংসতার প্রতীক, তাই এটি ধ্বংস করা উচিত।

 

সোমবার (১৮ মার্চ) মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বজরং দলের কর্মীরা বিক্ষোভ করে মাজার উচ্ছেদের দাবি জানায়। তারা মহারাষ্ট্র সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তবে "বড় আন্দোলন" গড়ে তোলা হবে এবং "করসেবা" করে মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

 

এ ঘটনায় মহারাষ্ট্র প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদার করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, মাজারের চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়।

 

এদিকে, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সঞ্জয় শিরাসাত বলেছেন, আওরঙ্গজেবের স্মৃতি সংরক্ষণ করা উচিত নয়। তার মতে, "একজন অত্যাচারী শাসকের মাজার থাকা উচিত নয়।" তিনি সরাসরি মাজার সরানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

 

এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তবে তিনি বলেছেন, এটি আইনি প্রক্রিয়ায় করতে হবে, কারণ কংগ্রেস সরকার এটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (ASI) কাছে হস্তান্তর করেছিল এবং এটি একটি সুরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।

 

বিজেপির সাংসদ ও ছত্রপতি শিবাজির বংশধর উদয়ন রাজে ভোঁসলে বলেন, "মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত। আওরঙ্গজেব ছিলেন চোর ও লুটেরা। যারা তার মাজারে যায়, তারা যেন সেটিকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়।"

 

এই ঘটনা ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিহাসের নাম করে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে, যা ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হতে পারে।