
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ফোনকলের বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশনস ডিরেক্টরেটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববারের (১৬ মার্চ) ফোনালাপে দুই নেতা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত।
ফোনালাপের সময় এরদোগান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পদক্ষেপকে তারা সমর্থন করেন। খবর ডেইলি সাবাহর।
এরদোগান আশা প্রকাশ করে বলেন, ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক সমাধানমুখী, আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে এগিয়ে যাবে।
সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে এরদোগান বলেন, তারা আশা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্কের স্বার্থ বুঝতে পারবে।
কমিউনিকেশনস ডিরেক্টরেট আরও জানিয়েছে, দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়নের বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এরদোগান উল্লেখ করেছেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গতিশীলতার ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির জন্য আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বর্ধিত পরামর্শ প্রয়োজন।
এছাড়া তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তমূলক ও প্রত্যক্ষ উদ্যোগের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, তুরস্ক শুরু থেকেই একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই লক্ষ্যে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
এছাড়া সিরিয়া ইস্যুতে এরদোগান স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, একটি কার্যকর নতুন প্রশাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বাভাবিকীকরণকে উৎসাহিত করার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ সিরিয়ার শরণার্থীদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে সাহায্য করবে। তুরস্ক বিশ্বাস করে, উভয় দেশেরই এই লক্ষ্যকে সমর্থন করা উচিত।