
ফেনীতে চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর হামলা অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদ উল করিমের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে শহরের একাডেমি রোডস্থ গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা যায়।
ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে শোনা যায়, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদ উল করিম গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক একাডেমি রোডস্থ উপশাখার জুনিয়র অফিসার ওমর ফারুককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ঈদের আগে টাকা দিবি, না হয় হাত ঠ্যাং ভাঙি গুড়া করি হালামু। তুই পারলে আমার..... (অশ্লীল বাক্য) করিস।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখায় ঈদের আগে টাকা দিবি, না হয় হাত ঠ্যাং ভাঙি গুড়া করি হালামু উত্তোলন করতে যান ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদ উল করিম। এ সময় চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো টাকা না পাওয়ায় ওমর ফারুক নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। একপর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর হামলা করেন রিয়াদ।
ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, তাকে অত্যন্ত বিনয়ীভাবে শিগগিরই টাকা প্রদানের বিষয়টি বলেছিলাম। পরবর্তী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়। হঠাৎ আমাকে উদ্দেশ্য করে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। বিষয়টি ঠিক হচ্ছে না বলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আমার নাকে মারাত্মক আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এর আগেও তিনি ব্যাংকে আসলে সবসময় দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব খাটাতেন। চাকরি করতে এসে যদি এমন কিছুর শিকার হতে হয় তাহলে আর কিছু বলার থাকে না।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক কাউছার আহমেদ চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকে কিছু সমস্যা চলছিল। তবে গ্রাহকের টাকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সোমবার এ ব্যক্তির সঞ্চয়ী হিসাবে জমাকৃত সব টাকা প্রদান করা হয়। পরবর্তী এফডিআরের ৯ লাখ টাকা শিগগিরই দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক কর্মকর্তার ওপর হামলা করেছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এমন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদ উল করিম বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে আমার জমাকৃত টাকার জন্য ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তারা টাকা দিতে না পেরে বারবার সময় নেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়েও অবহিত করেছিলাম। পরবর্তী আজও টাকার জন্য গেলে কিছু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুজ্জামান বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তার ওপর হামলার বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।