
জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি সম্ভবত একটি পাওয়ার ব্যাংক থেকে লাগা আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। তদন্তের ফলে এমন আলামতই পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এয়ার বুসান উড়োজাহাজটিতে গত ২৮ জানুয়ারি গিমহে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন লেগে যায়। ১৭৬ আরোহীর মধ্যে ১৬৯ জন যাত্রী ও ৭ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি না হলেও তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের ফল অনুযায়ী আগুনের সূত্রপাত পাওয়ার ব্যাংক ব্যাটারির ইনসুলেশন ভেঙে যাওয়ার কারণে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্ত্রাণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাওয়ার ব্যাংকটি উড়োজাহাজের লাগেজ বগিতে পাওয়া গেছে যেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। পাওয়ার ব্যাংকটিতে পোড়া চিহ্ন ছিল, এমনটি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
তবে তদন্তকারীরা ব্যাটারি ভেঙে যাওয়ার কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি। এখনও তদন্তের সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যায়নি, পাওয়ার ব্যাংকের ঘটনাকে প্রাথমিক ফল বলে জানিয়েছেন তারা।
বিশ্বজুড়ে এয়ারলাইনগুলো নিরাপত্তার কারণে বছর কয়েক ধরে চেক-ইন লাগেজে পাওয়ার ব্যাংক নিষিদ্ধ করেছে। এর কারণ হল, এই ডিভাইসে থাকা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি অতিরিক্ত তাপ এবং আগুনের কারণ হতে পারে, যদি ব্যাটারিতে কোনও ত্রুটি থাকে।
২০১৬ সাল থেকে, আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) নির্দেশনা অনুযায়ী, যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে কার্গো হোল্ডে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এয়ার বুসান আগুনের এক সপ্তাহ পর, বিমানসংস্থাটি এই বিষয়ে বিধিনিষেধ আরও কড়া করেছে। তারা ঘোষণা করেছে, এখন থেকে যাত্রীদের পাওয়ার ব্যাংক উড়োজাহাজে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
তারা জানিয়েছে, পাওয়ার ব্যাংক থেকে দুর্ঘটনার কারণ বেড়ে যাওয়ায় বিশেষভাবে পাওয়ার ব্যাংকে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইনসও এরকম একই নিয়ম চালু করছে, যেমন চায়না এয়ারলাইন্স ও থাই এয়ারওয়েজ, এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও তার লো-কস্ট ইউনিট স্কুট ১ এপ্রিল থেকে উড়োজাহাজে পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
এর আগে, ২৮ ফেব্রুয়ারি, দক্ষিণ কোরিয়া সরকারও ঘোষণা করেছে, যাত্রীদের বিমানবন্দরে পাওয়ার ব্যাংক এবং চার্জার তাদের ব্যক্তিগত ব্যাগে রাখতে হবে, লাগেজে নয়।