Image description
 

সৌদি আরবের প্রকৃত শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য সৌদি আরব সব ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে। এর আগে, জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছিল। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পুতিনের সঙ্গে টেলিফোন আলোচনায় ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সংলাপে সহায়তা এবং সব ধরনের উদ্যোগে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। 

বৃহস্পতিবার পুতিন বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে তার গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছিল মঙ্গলবার সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জেদ্দায় আলোচনার পর। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধের পর এই তথ্য বিনিময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। 

জেদ্দায় আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, এখন বল রাশিয়ার কোর্টে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে তারা এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দেয় কিনা। 

ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বলেছেন, তিনি ইউক্রেন সংকট সমাধানের গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে সর্বাত্মক অবদান রাখতে প্রস্তুত। 

গত মাসে সৌদি আরব রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করেছিল। সেখানে তিন বছরের যুদ্ধ সমাপ্তির পথ খুঁজে বের করার জন্য আলোচনা দল গঠনে সম্মত হয়েছিল দুই পক্ষ। 

সৌদি আরবের এই মধ্যস্থতামূলক ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি আরবের মতো প্রভাবশালী দেশের সম্পৃক্ততা এই সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় পক্ষের সদিচ্ছা ছাড়া এই সংঘাতের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। 

এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এবং সৌদি আরবের মধ্যস্থতা কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশা করছে, এই উদ্যোগ যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে।