Image description

ভারতে পবিত্র কুরআন ও হিজাব বিতরণের সময় ৩ কাশ্মীরী নারীকে আটক করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুসলিম মিররের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে পবিত্র কুরআন ও হিজাব বিতরণের সময় গত রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ৩ নারীকে আটক করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের পুলিশ প্রশাসন। যা রাজনৈতিক নেতা ও জনসাধারণের মাঝে সমালোচনা ও ক্ষোভের জন্ম দেয়। সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

শ্রীনগর পুলিশ প্রথমে তাদের আটকের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানায়নি। তবে ছেড়ে দেওয়ার পর জানায়, পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ওই ৩ নারীকে আটক করা হয়েছিলো। প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও পরিচয় সনাক্তের পরপরই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা নিরাপদে তাদের আবাসস্থলে ফিরে গিয়েছে।

অপরদিকে তাদের আটকের পরপর জম্মু-কাশ্মীরের এমএলএ বা আইন সভাসদ ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ওয়াহিদ পারা তীব্র নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিবৃতি দেন। ৩ নারীর আটককে অন্যায্য বলে পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন। শ্রীনগর পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত থাকার ও অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

এছাড়া পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনকে জঙ্গিবাদী বই বিবেচনা করায় তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করে বলেন, কুরআন ন্যায়বিচার, শান্তি ও অপরাধ মুক্ত সমাজের নীতি প্রচার করে। একে জঙ্গিবাদ ও সন্দেহের চোখে দেখা ইসলাম বিদ্বেষ ছাড়া কিছুই নয়।

কুরআন ও হিজাব বিতরণের দায়ে ৩ নারীকে আটকের পূর্বে ধর্মীয় বই, বিশেষত খেলাফতবাদ ও জামায়াতে ইসলামীর বইয়ের বিরুদ্ধে শ্রীনগর পুলিশ একটি বড় ধরণের অভিযান পরিচালনা করে। জামায়াতের আদর্শের সাথে যায় এমন ৬০০ এর অধিক বই জব্দ করে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ইসলামপন্থীদের সরকার বিরোধী আন্দোলন যেনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদির সরকার ও প্রশাসন। ২০২৪ এর শেষদিকে তাদের গোয়েন্দারা রিপোর্ট করে যে, ভারতে খেলাফত প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা শুরু করেছে হিযবুত তাহরীর, জামায়াতে ইসলামী সহ প্রখ্যাত দাঈ কালিম সিদ্দিকীর অনুসারীরা। এই কথিত রিপোর্টের ভিত্তিতে অন্যায্য ভাবে ব্যাপক মুসলিমদের ধরপাকড় শুরু করে দেশটির উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি শুরু করে বই বিরোধী অভিযান। পাশাপাশি চলমান রাখে ওয়াকফ আইন সহ বিভিন্ন আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে আইনী ভাবে ও বে-আইনীভাবে মুসলিমদের জায়গা-জমি, ঘরবাড়ি, স্থাপনা দখল ও মসজিদ গুড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম।