Image description
 

পানামা খাল কর্তৃপক্ষও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, তারা তাদের টোল বা ফিতে কোনো সমন্বয় করেনি।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর দাবি করেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোকে পানামা খাল পারাপারের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না এবং এতে সম্মতি জানিয়েছে পানামা। আর এ দাবি অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পানামা খালের বিষয়ে ‘সম্পূর্ণ অসহনীয় মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগ করেছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পানামার প্রেসিডেন্ট মুলিনো আরো স্পষ্টভাবে পররাষ্ট্র দফতরের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিকদের বলেন, গতকালের মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ঘোষণায় আমি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছি, কারণ তারা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এটা অসহনীয়, সম্পূর্ণ অসহনীয়।

পানামা খাল কর্তৃপক্ষও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, তারা তাদের টোল বা ফিতে কোনো সমন্বয় করেনি।

 

সেদিনই পরে মুলিনো ঘোষণা করেন যে, তিনি শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন।

 

এই দ্বন্দ্ব শুরু হয় চার দিন আগে যখন ট্রাম্প আবারও ভিত্তিহীনভাবে দাবি করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র মূর্খতার কারণে ১৯৯৯ সালে মার্কিন নির্মিত খালটি পানামার নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দিয়েছিল, যা এখন চীনের দখলে চলে গেছে। ট্রাম্প তখন সতর্ক করে বলেন, আমরা এটি পুনরুদ্ধার করবো, অথবা খুব শক্তিশালী কিছু ঘটতে চলেছে।

ট্রাম্প যখন এই বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পানামায় অবস্থান করছিলেন। পররাষ্ট্র দফতরের মতে, রুবিও মুলিনোকে বলেছিলেন যে ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, পানামা খাল অঞ্চলের ওপর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণ একটি হুমকি এবং এটি অগ্রহণযোগ্য। রুবিও আরো যোগ করেন, তাৎক্ষণিক পরিবর্তন না হলে, যুক্তরাষ্ট্রকে তার অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার মুলিনোর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রুবিও বলেন, যদি পানামা খাল আক্রমণের শিকার হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি চুক্তিগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে একে রক্ষা করার জন্য। এই বাধ্যবাধকতা মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষত মার্কিন নৌবাহিনীর মাধ্যমে কার্যকর করা হবে। এটি হাস্যকর যে, আমরা এমন একটি অঞ্চল পারাপারের জন্য ফি প্রদান করবো, যা আমরা সংকটের সময় রক্ষা করতে বাধ্য।