Image description

ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের ফলে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। এরপর গত বুধবার রাতে হাসিনার প্রয়াত পিতা এবং দেশের স্বাধীনতার নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল জনতা। শেখ মুজিবের ৩২ নম্বর বাড়ির পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা হাসিনার দল আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের বাড়িতেও আগুন দিয়েছে। 

ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি উত্তপ্ত ভাষণ দেয়ার পরই ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে জড়ো হয় জনতা। বক্তৃতায় হাসিনা তার সমর্থকদের নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানান। 

জুলাই-আগস্টে হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটিতেও হামলা চালানো হয়। এর মাধ্যমে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটানো হয়। সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেসময় ছাত্রদের দমন করতে দেশব্যাপী সহিংসতার পথ বেছে নেয়া হয়েছিল। যার ফলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এবং তাতে অন্তত ৮৩৪ জন নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

শেখ মুজিবুর রহমান কে ছিলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি কিসের প্রতীক?
শেখ হাসিনার প্রয়াত পিতা শেখ মুজিবুর রহমান- যিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ এবং ‘মুজিব’ নামেই অধিক পরিচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জাতির মুক্তি সংগ্রামে তার নেতৃত্বর ফলেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

স্বাধীন দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ মুজিব। পরে ১৯৭৫ সালের ২ শে জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) নামের একদলীয় বিতর্কিত শাসন ব্যবস্থা চালু করেন। যার ফলে অন্যান্য সকল রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়। ওই রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া সকল রাজনৈতিক দলসমূহ নিষিদ্ধ করার ফলে একদলীয় শাসন জোরদার করা হয়। দেশের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিচারক এবং বেসামরিক কর্মচারীদের এক দলের অধীনে সদস্য হতে বাধ্য করেন মুজিব।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা ব্যাতীত শেখ মুজিব এবং তার পরিবারের সকল সদস্যকে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে এক সামরিক অভ্যুত্থানের সময় হত্যা করা হয়। সেই সময় হাসিনা এবং তার বোন রেহানা জার্মানিতে ছিলেন। তারা ভারতে আশ্রয় নেন এবং ১৯৮১ সালের মে মাসে হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন। ফিরে আসার পর হাসিনা ১৯৮১ সালের ১০ জুন দেশের স্বাধীনতার স্মারক হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দেন। যা ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়। 

১৯৯০ সালের মধ্যে দেশে ৪টি সেনা শাসন বা সেনা-সমর্থিত সরকারের ধারাবাহিকতার পর ওই বছর প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বেগম খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে পরাজিত করে প্রথম ক্ষমতায় আসে হাসিনার আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই বাড়িটির তাৎপর্য ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শেখ মুজিবকে হত্যা করার আগ পর্যন্ত বিশ্বের বহু নেতাই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে এসেছিলেন।

৩২ নম্বরে সাম্প্রতিক হামলার কারণ কী?
শেখ মুজিবের বাড়ি এবং অন্যান্য আওয়ামী লীগ সদস্যদের সম্পত্তিকে বছরের পর বছর ধরে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন, দুর্নীতি এবং বিরোধী কণ্ঠ দমনের আইকন হিসেবে দেখে বিক্ষোভকারীরা। গত বছর হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভেঙে ফেলার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারণা জোরদার করা হয়। গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে যে বুধবার রাতে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। ভারতে থেকে হাসিনার এভাবে প্রচারণা চালানোয় গত বছর ভারতকে হুঁশিয়ার করেন অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতারা। দিল্লির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তারা বলেছিলেন, ভারত থেকে হাসিনাকে বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ করে দিয়ে ‘বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ছাত্র সংগঠনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, আজ রাতে ফ্যাসিবাদের আস্তানা থেকে মুক্ত হবে বাংলাদেশ। প্রতিক্রিয়ায় ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ।

হাসিনার পারিবারিক বাড়িটির কী হয়েছে?
বুধবার সন্ধ্যার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনীর একটি দল পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য যোগ দেয় তবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বাকবিতণ্ডার পর তারা সেখান থেকে সরে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং এক্সে নিজের লাইভ বক্তৃতায় অন্তর্বর্তী সরকারকে বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ করেন হাসিনা। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। 

এতে ক্ষোভে ফেনে পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রজনতা। তারা লাঠি, হাতুড়ি এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে ভাঙচুর চালান এবং আগুন ধরিয়ে দেন। এর পাশাপাশি অন্য কেউ ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে ক্রেন এবং বুলডুজার নিয়ে আসেন। এরপর বুলডুজার দিয়ে যখন বাড়িটি ভাঙা শুরু হয় তখন উল্লাসে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তারা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘ফ্যাসিবাদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা। আবু সাঈদের বাংলায় হিন্দুত্ববাদের ঠাঁই নাই। আবু সাঈদ ছিলেন হাসিনা বিরোধী শক্তি যাকে গত জুলাই অভ্যুত্থানে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। আর হিন্দুত্ববাদ হচ্ছে- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ মতাদর্শ।  

আল জাজিরাকে সাঈদ আহমেদ নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, এই বাড়িটি ফ্যাসিবাদের প্রতীক। অন্যদিকে পালিয়ে থেকেও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন হাসিনা। তাই আমরা ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট রাখব না। অবশ্য এ বিষয়ে দর্শকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। পুরান ঢাকা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে মটরসাইকেলে চড়ে এসেছিলেন ইকবাল নামের এক যুবক। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, নিঃসন্দেহে হাসিনা দোষী; তার কারণেই মানুষ যন্ত্রণা ভোগ করেছে। কিন্তু এই বাড়িটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। আমি মনে করি না যে পদক্ষেপটি সঠিক। তবে তার পাশে থাকা বন্ধুটি বলেছেন, তিনি এই পদক্ষেপকে অবশ্যই ঠিক বলে মনে করেন। কিছু বিক্ষোভকারীকে চিহ্ন হিসেবে ভবনের ইট নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেকে বই, আসবাবপত্র, লোহা, ভাঙা গ্রিল, কাঠ এবং অন্য যা কিছু পেয়েছে তা নিয়ে গেছে। 

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা- ব্যাপক হামলার ঠেকাতে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। আমি নিজে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে ছিলাম।’ যদিও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউই গ্রেপ্তার হয়নি।

আর কোন কোন ভবন লক্ষ্যবস্তুতে ছিল?
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাত থেকে দেশের অন্তত ১৯টি শহরে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কুমিল্লা এবং মধ্যাঞ্চলীয় জেলা টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর, খুলনা, নোয়াখালী এবং কুষ্টিয়া জেলার বেশ কয়েকজন পলাতক নেতার বাসভবন ভাঙচুর এবং সিলেট ও রংপুরের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ নেতারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন যে, এক নারীসহ দলের দুই সদস্য লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তবে আল জাজিরা স্বাধীনভাবে এই দাবিগুলি যাচাই করতে পারেনি।

সরকার এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া কী?
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে, অন্তর্বর্তী সরকার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। তবে ‘জনগণের ক্ষোভের’ জন্য এর জন্য ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে হাসিনার উস্কানিকেই দায়ী করেছেন সরকার। এতে হাসিনার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে ‘শহীদদের’ অপমান এবং অস্থিতিশীলতাকে উস্কে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, হাসিনার কথা জুলাইয়ের গণহত্যার ক্ষতগুলোকে আবারও নতুন করে ফুটিয়ে তুলেছে, যার ফলে ধানমন্ডি ৩২-এ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সরকার ভারতকে তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ব্যবহার করতে না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়া হয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি উস্কানিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচারের অগ্রগতি হচ্ছে উল্লেখ করে সরকার হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
স্বাধীনতার বিপক্ষে থাকা দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তৃতাকে দায়ী করেছেন। 

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন সিনিয়র নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি কিছু লোক আগামী দিনে গণতন্ত্রের পথকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশী দেশ (ভারত) এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা সেটাও তদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

এই ঘটনার পর আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত কী?
একসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল ছিল আওয়ামী লীগ, যা এখন ব্যাপক প্রতিকূলতার মুখোমুখি। বিশ্লেষকরা বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি ভাঙার ঘটনাটি জনগণের একটি অংশের ঐতিহ্যের প্রতি তীব্র প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে গত বছরের গণবিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র এবং তরুণদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি।

জোবান ম্যাগাজিনের বিশ্লেষক এবং সম্পাদক রেজাউল করিম রনি আল জাজিরাকে বলেন, ৫ই আগস্ট (আওয়ামী লীগ) সরকারের পতনের পরপরই বাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আংশিক ভাঙচুর সত্ত্বেও এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অক্ষত ছিল। এখন, শেখ হাসিনা বিপ্লবকে অস্বীকার করছেন এবং গণহত্যার জন্য কেনো অনুশোচনা না দেখিয়ে তার সমর্থকদের উস্কে দিচ্ছেন। ফলে জনগণ যা অবশিষ্ট ছিল তা শেষ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেকেই এই পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত যে, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকে শুরু হয়েছিল এবং হাসিনার অধীনে তা চরম আকার ধারণ করেছিল। আওয়ামী লীগের পেশী-ভিত্তিক রাজনীতি আর টিকে থাকবে না, এটি জুলাইয়ের আন্দোলনেই প্রমাণিত হয়েছে। রনি বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না। আওয়ামী লীগের এই কলঙ্কিত উত্তরাধিকারের পর; নেতৃত্ব পরিবর্তন করেও দলটি রাজনীতিতে পুনরায় প্রাসঙ্গিক হতে পারবে না বলেই তার ধারণা।