Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে এক নারীসহ ‘অপ্রীতিকর অবস্থায়’ হাতেনাতে আটক হয়েছেন স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের ইনডোর গেমস সম্পাদক শাহরিয়ার তানজিল। আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে হলের গেস্টরুমে এ ঘটনা ঘটে।

হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতিতে হল ছাড়ায় ঘটনার সময় গেস্টরুম তুলনামূলক ফাঁকা ছিল। এ সুযোগে ওই ছাত্রদল নেতা গেস্টরুমে এক নারীকে নিয়ে অবস্থান করেন। হলের নিয়ম অনুযায়ী পারিবারিক সদস্য বা আত্মীয় ছাড়া গেস্টরুমে অন্য কোনো নারীকে আনা নিষিদ্ধ—এ সংক্রান্ত নোটিশ গেস্টরুমের দরজায় টানানোও রয়েছে।

জানা গেছে, দুজনকে অপ্রীতিকর অবস্থায় শনাক্ত করার পর ছাত্রদল নেতাকে সেই নোটিশটি পড়ে গেস্টরুম ত্যাগ করতে বলা হয় হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে এ সময় তিনি গেস্টরুম ত্যাগ না করে ছাত্রদলের কয়েকজনকে ফোন দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার তানজিল বলেন, ঘটনা আসলে অপ্রীতিকর কিছু ছিল না। আমার একজন মেহমান এসেছিল, সে বসতে চেয়েছিল। গেস্টরুমে কর্মচারী বসা ছিল, তারা কিছু বলেনি—তাই আমরাও ভেবেছি বসা যাবে।

তিনি বলেন, এ ঘটনার (আটক) আগ মুহূর্তে আমি নিজেও প্রক্টোরিয়াল টিমকে ফোন দিই—আমার এবং আমার সঙ্গে থাকা অতিথির নিরাপত্তার জন্য। বাইরে থেকে কাউকে আনার বিষয়ে নিয়ম আছে—আমি আগে নিয়মটা খেয়াল করিনি, এটা আমি স্বীকার করি। আমাকে জোর করে নোটিশ দেখানো হয়। 

ছাত্রদল নেতাদের ফোন দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক কারণে নয়। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে এক সিনিয়র ভাইকে ফোন করেছিলাম শুধু পরিস্থিতি বুঝে কথা বলার জন্য। আমি পুরো ঘটনাকে একটি ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে দেখি এবং ভবিষ্যতে নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করব, বলেন ছাত্রদলের এই নেতা।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, তিনি এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী এবং তার সাথে থাকা মেয়েটি বহিরাগত। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছি। তারপর তাদের দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।