Image description

মার্কিন আইন অনুসারে সৌদি আরবকে সবচেয়ে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে বাধা দেবে ইসরাইল। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, সৌদি আরব সবচেয়ে উন্নত মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাবে না। নেতানিয়াহ’র এই অবস্থান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে। যেখানে কিছু দিন আগে সৌদির যুবরাজের সফরে তিনি সৌদি আরবকে এফ-৩৫ দেয়ার পক্ষে মন্তব্য করেছিলেন।

মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নেতানিয়াহু’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও তার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের ‘গুণগত সামরিক অগ্রাধিকার’ বজায় রাখবে। যা মার্কিন আইনে সুরক্ষিত। এর মধ্যে রয়েছে ইসরাইলকে দেওয়া এফ-৩৫ সরবরাহে বিশেষ সুবিধা, যা অন্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর জন্য সীমাবদ্ধতা।

নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্য রুবিওকে ইসরাইলের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার দৃঢ় সমর্থক হিসেবে তুলে ধরে। এর আগেও তিনি তুরস্ককে এফ-৩৫ প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টাকে ঠেকাতে নেতানিয়াহুর লবিংয়ের পর সমর্থন করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে তুরস্ক রাশিয়ান এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনে আর এফ-৩৫ কেনার পর্ব স্থগিত করে দিয়েছিল।

অন্যদিকে, ট্রাম্প গত সোমবার সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে বলেন , সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে ইসরাইলের ‘সমান অংশীদার’ হওয়া উচিত। এছাড়া এসময় সৌদিকে ‘নিম্নমানের বিমান’ দিতে চায় ইসরাইলের-এমন লবিংয়েরও সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

মার্কিন কংগ্রেস ২০০৮ সালে থেকে ইসরাইলের সামরিক শ্রেষ্ঠত্বকে আইনগত সুরক্ষা দেয়, যার ফলে আরব রাষ্ট্রগুলো একই ধরনের যুদ্ধবিমান কিনলেও সেগুলো নকশা ও প্রযুক্তিতে ইসরাইয়েলের মডেলের তুলনায় দুর্বল রাখা হয়। আর এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইসরাইল তার নিজস্ব সংস্করণ এফ-৩৫আই আদি–এ বিশেষ পরিবর্তনও এনেছে, যা জুনে ইরানে আকস্মিক হামলার সময় দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রমে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।