Image description

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন কর্তৃক হিজাব নিয়ে কটাক্ষের প্রতিবাদ ও তার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যায়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের নারী শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এই কর্মসূচি আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে চাকসুর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দ্বীপা বলেন, রাকসুতে বিজয়ী হিজাব পরিহিত বোনদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। সেই সাথে তিনি ক্লাসে হিজাবীদের কটাক্ষ করে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট এবং মদ হাতে ক্লাসে আসতে চেয়েছেন। তার এই বক্তব্য ধর্মীয় অনুশাসন ও দেশের আইনের পরিপন্থী। আমরা তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে প্রতিবাদ জানাচ্ছি এরকম মানসিকতার সেইসব শিক্ষকের কাজকে, যারা অনবরত হিজাবকে কটাক্ষ করে আসছেন।

চাকসুর সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত বলেন একজন শিক্ষক, যিনি সমাজের পথপ্রদর্শক হওয়ার কথা। তিনি যখন নারীদের পোশাক নিয়ে বিদ্রূপ করেন, তখন তা একটি পুরো শ্রেণিকে, একটি পরিচয়কে, একটি বিশ্বাসকে অপমানিত করে। আজকের এই প্রতিবাদ কেবল একজন শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে নয়। আমাদের প্রতিবাদ সেই মানসিকতার বিরুদ্ধে, যা একজন শিক্ষকের কণ্ঠে বিদ্বেষ জাগায়, একজন নারীর পোশাক নিয়ে উপহাস করতে শেখায় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো জায়গাকে বৈষম্যের জায়গায় পরিণত করে।

চাকসুর সহ-ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস রিতা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকের মন্তব্য নারীর প্রতি অবমাননা এবং নারীর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। তিনি পোশাকের স্বাধীনতা চেয়েছেন অথচ একজন শিক্ষার্থীর বোরকা পড়ার যে স্বাধীনতা, তা তিনি মানতে পারছেন না। আমরা মনে করি এরকম দ্বি-চারিতামূলক আচরণ শিক্ষাঙ্গনে ভারসাম্য নষ্ট করে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বেগম খালেদা জিয়া হল সংসদের জিএস নাজিফা তাসফিয়াহ, বিজ্ঞান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক নিশাত সালসাবিল শিকদার এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাওফিকা রহমান। এ ছাড়া বিভিন্ন হলের প্রতিনিধি ও অন্যান্য নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।