২৮ বছর ধরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জন্য টাকা দিয়েছেন, সে টাকা ফান্ডে না থাকার কারণ জানতে চাওয়া হলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, এ পর্যন্ত আমরা ১ কোটি ১১ লাখ টাকা পেয়েছি। আর খরচ হয়ে গেছে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এ টাকা কীভাবে খরচ হয়ে গেছে, ডাকসু নেতারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে নির্বাচন হয়, সে খাতে এই টাকা খরচ হয়েছে। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থী ও নেতারা বলেন, এ টাকা তো এভাবে খরচ করা যাবে না। এ টাকা খরচ করবে ডাকসু।
হল সংসদ এবং ডাকসুর অতীতের সব ফান্ডের হিসাব দিয়ে বাজেট বুঝিয়ে দেওয়া এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনে টোকাই, ভবঘুরে, মাদকমুক্ত করাসহ তিন দফা দাবিতে আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ঘেরাও করা হয়। ডাকসু নেতাসহ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ সময় কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, টাকা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পলিসি পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। ডাকসুর আয় আলাদা কিছু না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক আয়ের অংশ আছে। ইউজিসি একটি বরাদ্দ দেয়। সে টাকার মধ্যেই এ ফি’ও অন্তর্ভুক্ত। ইউজিসি যেভাবে যে ফরম্যাটে বাজেট দেয়, সেভাবে খরচ করা হয়।
তার বক্তব্যের জবাবে ডাকসু নেতারা বলেন, এসব পলিসি আমরা বুঝি না। ডাকসুর টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে। পরে কোষাধ্যক্ষ বলেন, বাজেটের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও স্বাধীনতা নেই। আয় খুব কম। সরকারি বাজেটের ওপর নির্ভর করতে হয়। ১২০০ কোটি টাকা চাইলেও ৯০০ কোটির কিছু বেশি দিয়েছে। খরচ কমালেও ১০০ কোটি ঘাটতি হবে। তারা বলেছে, আয় বৃদ্ধি করতে।
তখন আন্দোলনকারীরা বলেন, শিক্ষার্থীরা ডাকসুর জন্য যে টাকা দিয়েছে, সে টাকা দিতে হবে। এ টাকা অন্য কাজে কেন যাবে, ডাকসুর টাকা দিতে হবে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে কথা বলতে হবে জানান তিনি।
রবিবার দুপুরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক এবি যুবায়ের নেতৃত্বে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ঘেরাও করেন তারা। কর্মসূচির একপর্যায়ে তারা এ তিন দাবি নিয়ে কোষাধ্যক্ষের অফিসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদের অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে বাকবিতণ্ডা চলে।