দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) অংশ নেওয়া ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও কৃতকার্য হয়নি। ফলে কলেজগুলোকে কঠোর বার্তা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। বোর্ড জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে স্বীকৃতি বাতিল করা হবে।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে দিনাজপুর বোর্ডে। এ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ৬৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত বছর ‘শূন্য’ পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ২০টি। এবারে সেই সংখ্যা বেড়েছে আরও ২৩টি।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় নীলফামারীতে ১০টি প্রতিষ্ঠান, কুড়িগ্রামে ৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ছয়টি, লালমনিরহাটে পাঁচটি, দিনাজপুর ও রংপুরে চারটি করে, পঞ্চগড়ে তিনটি ও গাইবান্ধায় দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। এই ৪৩টি কলেজ থেকে ১৮২ পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে বড় ধস নেমেছে। এবার পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৯২১ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ৬০ হাজার ৮৮২ জন, ফেল করেছে ৪৫ হাজার ৩৯ জন।
বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এ বছরই প্রথম শূন্য পাসের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এমন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা পাঠদানে কোনো ত্রুটি রাখেননি। শিক্ষার্থীরা খাতা পুনর্মূল্যানের আবেদন করেছে। বোর্ডকেও বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান তারা।
এ বিষয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. তৌহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের জিজ্ঞেস করা হবে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও ফল কেন বিপর্যয় হয়েছে। যদি তারা প্রতিশ্রুতি দিতে না পারে যে পুনরায় এমন ঘটনা ঘটবে না, তবে স্বীকৃতি বাতিল করতে পারি।’