Image description

তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের মনোনীত প্যানেলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পেরে ভরাডুবি হয়েছে ছাত্রদলের। ভিপি ও এজিএসসহ ২৩টি পদের ২০টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। নির্বাচনে ভিপিতে ছাত্রদলের চার গুণ ও বামপন্থী প্রার্থীর ৫৪ গুণ বেশি ভোট পেয়েছে শিবির।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম।

রাকসু নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভিপি পদে ছাত্রশিবিরের জাহিদ যেখানে ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়েছেন, সেখানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭টি ভোট। সে অনুযায়ী প্রায় চার গুণ বেশি ভোট ভিপি হয়েছেন শিবিরের জাহিদ। এই ব্যবধান বামপন্থী প্রার্থী ফুয়াদ রাতুলের চেয়ে ৫৪ গুণ বেশি। ফুয়াদের প্রাপ্ত ভোট ২৩৭।

অন্যদিকে জিএস পদে জয় না পেলেও শিবির সমর্থিত প্রার্থী ফাহিম রেজা পান ৫ হাজার ৭২৯ ভোট। সেখানে ছাত্রদলের প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৮ ভোট। যা ছাত্রদলের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি। জিএস জয় পেয়েছেন সালাউদ্দিন আম্মার। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ১১ হাজার ৫৩৭। যা শিবিরের প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণ এবং ছাত্রদলের চেয়ে প্রায় ৯ গুণ বেশি।

তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে এজিএস পদে। শিবির সমর্থিত সালামান সাব্বির ৬ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হোন। সেখানে ছাত্রদলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪১ ভোট। মূলত পুরুষ ভোট বেশি পেলেও নারী ভোটার টানতে না পারায় আত্মবিশ্বাসী থেকেও জয় বঞ্চিত হোন এষা। ভিপি ও জিএস’র মত এজিএসেও ভরাডুবি ছিল বামপন্থীদের। এই পদে গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদের প্রার্থী নাসিম সরকার ১৭১ ভোট পান।