Image description

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম সিজিপিএর মানদণ্ড পুনর্বিবেচনা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদানের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জবি ছাত্রদলের একাংশ।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের কাছে এ স্মারকলিপি দেন তারা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ৮৫ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অনেক যোগ্য ও গবেষণামুখী প্রার্থীর জন্য আবেদন করার সুযোগ সীমিত করছে। বাংলাদেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫০ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ পর্যন্ত প্রযোজ্য রয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে জবির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য সুলতান মাহমুদ শুভ বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিজিপিএ বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।  একজন শিক্ষকের পাঠ দানের দক্ষতা নির্ণয়ের জন্য নিয়োগের আগে ডেমো ক্লাশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জবির অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। তাই ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত সিজিপিএ এর মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদমান সাম্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইউজিসি একটি মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছে। তবে জবির সাবেক ভিসি মিজানুর রহমানের সময়ে সেটাকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৮৫ করা হয়। যার জন্য আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে জবির সাবেক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক কম। তাই আমরা বলেছি যেন ইউজিসির মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের ক্রাইটেরিয়া ঠিক করা হয়।

এর আগে ১১ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তরের শেষ পাতায় শিক্ষক নিয়োগে জবি শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে শিক্ষক নিয়োগে জবি শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ার দাবি উঠতে থাকে।