
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স ক্যাটাগরিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শাখার প্রচার সম্পাদক মু. সাজ্জাদ হোসাইন খাঁন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে তিনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এর আগে, গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গতকাল ১৩ অক্টোবর (সোমবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সাজ্জাদ হোসাইন খাঁন লেখেন, ডিন’স অ্যাওয়ার্ড উপলক্ষ্যে আগামীকাল (মঙ্গলবার) আব্বু-আম্মু ক্যাম্পাসে আসবেন। প্রথমবারের মতো আসবেন। আমার বাসা গাজীপুর, টঙ্গীতে। কাছেই। তাও তারা কখনো আসেননি ক্যাম্পাসে। আব্বু-আম্মুর একসাথে আসাটা আমার জন্য একটা ব্লেসিং। এমনিতে মনভোলা স্বভাব আমার। তারপর পড়াশোনা, সাংগঠনিক ব্যস্ততায় বাবা-মায়ের হক কতটুকুই-বা আদায় করতে পারি আর!
তিনি লেখেন, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে আমার মতো ছেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পিছনে সবটাই অবদান আমার আব্বু-আম্মুর। আমার আব্বা ওইভাবে পড়াশোনা করে উঠতে পারেননি সংসারের টানাপড়েনে; কিন্তু আমার পড়াশোনার জীবনে কোনো সময় কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করতে দেননি আমাকে। নিজ ক্ষুদ্র সামর্থ্য থেকে আমার জন্য সর্বোচ্চটা বরাদ্দ রেখেছেন। সবসময় সাহস জুগিয়েছেন। আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি আমার মায়ের হাতে। সেই হিসেবে আমার আম্মুই আমার প্রথম শিক্ষক।
তিনি আরও লেখেন, আমরা যে জীবন যাপন করি, আমাদের যে সামর্থ্য— তার মাঝে থেকে বাবা-মায়ের জন্য কতটুকুই আর আমরা করতে পারি! কেবল এতটুকুই চাই, আমার মাধ্যমে যেন আমার বাবা-মা সম্মানিত হোন। তাদেরকে মালিক যেন নিজ রহমতের চাদরে আবৃত করেন। রাব্বির হামহুমা কামা রব্বাইয়ানি সগিরা।
জানা গেছে, সাজ্জাদ হোসাইন আরবি বিভাগের ২০১৯–২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক। স্নাতকে ৪-এর মধ্যে ৩.৯৯ সিজিপিএ অর্জন করে বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। বর্তমানে তিনি একই বিভাগে স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত।
প্রসঙ্গত, মু. সাজ্জাদ হোসাইন খাঁন ডাকসু নির্বাচন ২০২৫-এ শিবিরের প্যানেল থেকে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। তার ব্যালট নং ছিল ৫।