
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার (পোষ্য কোটা) ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় ও শনিবার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনায় বিচার চেয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাকসুর নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে এমন ঘটনায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে সঠিক সময়ে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের তেমন প্রচারণা করতে দেখা যায়নি, হাতে গোনা কয়েকজন প্রার্থীকে লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায়।
তবে শিক্ষক কর্মকর্তাদের এই আন্দোলন রাকসুতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন। তিনি বলেন, রাকসুতে আমাদের এই আন্দোলন কোনো প্রভাব ফেলবে না। রাকসুকে আমরা আমাদের কর্মসূচির বাহিরে রেখেছি। আমাদের দাবি হলো, ছাত্র নামধারী যে কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। এমনকি তাকে বাসাতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শাস্তি দিতে হবে।
রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় আমাদের নির্বাচনি কোন কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে বলে আমরা মনে করছিনা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সকল ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। রাকসু যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের একটা প্রত্যাশা, তাই আমরা সকল পক্ষের সহযোগিতা চাই। উপাচার্য স্যারও আমাদের সকল ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন হবে, আমাদের নির্বাচনি সকল কার্যক্রম চলমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন যে গতকালকের ঘটনার ভিত্তিতেই তারা আজকের কর্মসূচি দিয়েছেন এবং সকল জরুরি সেবা তাদের এই আন্দোলনের আওতামুক্ত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ তারিখেই যেহেতু রাকসু নির্বাচন তাই এটি বর্তমানে একটি জরুরি সেবার অবস্থানেই আছে।’