
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, এ বছরের দুর্গাপূজাটা একটু স্পর্শকাতর। ছাত্র জনতার অভ্যূত্থানে এক বছর আগে এক স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে এ দেশে। স্বৈরাচারের পতন ঘটলেও স্বৈরাচারের লেজ কিন্তু এখনো নড়াচড়া করে। আর এ লেজ গুপ্তভাবে নড়াচড়া করে। স্বৈরাচারের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী পার্শ্ববর্তী দেশে হাজার হাজার। এরা এই দুর্গাপূজা উৎসব আসলে হয়তো তারা নিজেদের মোক্ষম একটা সুযোগ নিতে পারে৷ এখানে কোন একটা ডিস্টার্বেন্স ক্রিয়েট করার জন্য।
রোববার দুপুরে শহরের এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা আয়োজিত শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার পুলিশ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নিরাপত্তা বাহিনী সজাগ থাকতে হবে। কিন্তু হিন্দু ভাইদের সর্বোপরি বেশি সজাগ থাকতে হবে। কারণ কোন কিছু চোখে পড়লে প্রথম আপনারাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপের চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করবেন। পূজা মণ্ডপের আশপাশে মেলা বসে যার সব জায়গায় না হলেও অনেক জায়গায়। এগুলো কিন্তু একধরনের নিরাপত্তার হুমকি। এসব যেন মণ্ডপ থেকে দূরে থাকে। পৌর সভাগুলোতে ট্রাফিক জ্যাম কমাতে সচেষ্ট হতে হবে।
নাসের রহমান আরও বলেন, আমরা চাই হিন্দু ভাই-বোনেরা এই মহা উৎসবটা পালন করুক। কিন্তু পলাতক স্বৈরাচারের লেজ যাতে নড়াচড়া না করে সেদিকে পুলিশ নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা বাহিনীকে সজাগ থাকবেন। আর আমরা আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যা সাধ্য আছে সবটুকু করার চেষ্টা করবো।
পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি অ্যাড. সুনীল কুমার দাশ, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, মাওলানা জামিল আহমেদ আনসারি, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়ক সাহেদ আলম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা সভাপতি আশু রঞ্জন দাশসহ বিভিন্ন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার পূজা উদযাপন ফ্রন্ট ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন।