
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগের কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ফল মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের নারী এজিএস প্রার্থী আঞ্জুমান ইকরা। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে ইকরা লেখেন, জাকসু নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের উর্ধ্বে সুষ্ঠ ভোটের জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে দায়বদ্ধ ছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের প্রকাশ্য অনিয়ম, কারচুপির পরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই রায় আমাদেরকে মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও লেখেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাকসু নির্বাচনে ভরসার জায়গা থেকে এজিএস হিসেবে মনোনীত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দ্বায়িত্বশীলদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে নিজেদের ভুলগুলো পুনর্বিবেচনা করে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে একটা নতুন ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করবো ইনশাআল্লাহ।
জানা গেছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষাথী।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোট শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে জাকসু নির্বাচন বর্জন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের আশঙ্কা ছিল এটি সাজানো নির্বাচন হবে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, কিন্তু প্রশাসন আমাদের দাবি উপেক্ষা করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন হলে ভোটগ্রহণে অনিয়ম, জাল ভোট, নকল ব্যালট ব্যবহার, পোলিং এজেন্টদের কাজে বাধা দেওয়া এবং শিবির-সমর্থিত প্রার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।