
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় দোষীদের বিচার কার্যক্রম আগামীকাল সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টার মধ্যে শেষ না হলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
আজ রবিবার (১৮ মে) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষকরা।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ড. ফারুক হোসাইন বলেন, ‘গত ১৪ মে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভিসি স্যার আশ্বাস দেন, ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমে ১৮ ফেব্রুয়ারির অপ্রীতিকর ঘটনা ও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার নিশ্চিত করে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করবেন। ফলে শিক্ষক প্রতিনিধিরা ১৮ মে থেকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এবং সংকট নিরসনে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এ জন্য সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রশাসন কোনো সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না নিলে ভিসি স্যারের কার্যালয়ে অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। ’
এদিকে তদন্ত কমিটির রিপোর্টকে প্রহসনের রিপোর্ট আখ্যায়িত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৮ ফেব্রুয়ারির অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিচার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে অচলাবস্থা চলছে। পরে শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন ও আমরণ অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। ১ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেননি শিক্ষকরা।