
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ছাত্রদল এখনো তাদের ডাকসু প্যানেল চূড়ান্ত করতে পারেনি। তাদের বাড়তি সুবিধা দিতেই ডাকসুর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসুর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময়সীমা একদিন বৃদ্ধির ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন।
আবু বাকের বলেন, ‘আজ ছাত্রদলের কবি জসিমউদদীন হল শাখার আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম অর্ধশতাধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন ফরম তুলতে যায়। যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু তারপরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আজ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সময় শেষ হওয়ার পরেও কয়েকজন মনোনয়ন ফরম তুলতে যায়। এ সময় সচেতন শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা প্রদান করে। কিন্তু ছাত্রদল এটিকে মব আখ্যা দেয় এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে দাবি করে। আমরা দেখতে পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ছাত্রদলের কথা মতো ওই সচেতন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ওই সচেতন শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।’
সংগঠনটির ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আজ যে ব্যক্তি (ছাত্রদল নেতা হামিম) আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তিনি কেবল তা করেই ক্ষান্ত হননি, বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কারও সঙ্গে আলোচনা ব্যতীত হঠাৎ করে সময় বৃদ্ধি করেছে। এর মাধ্যমে ছাত্রদলকে এক্সট্রা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কাদের।’
তিনি আরও বলেন, “আজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কর্তৃক আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডাকসুর ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই বলে অভিযোগ করেছে। যেটিকে আমরা ডাকসু বানচালের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখি এবং এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি করা হচ্ছে। যা সত্যিকার অর্থে ডাকসুর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট করার পরিস্থিতি তৈরি করছে।”