Image description

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে অমর নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর পর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। সেই মামলায় পিবিআই বলেছিল— হত্যা নয়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন। পিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করেনি দাবি করে ২০২১ সালে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী নারাজি দিয়েছিলেন। 

গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন সালমান শাহের মামা মোহাম্মদ আলমগীর। মামলায় সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হক, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডনসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্ষণজন্মা সালমান শাহ মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তার অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি কেউ। প্রায় তিন দশক পর তার অপমৃত্যুর মামলা স্থানান্তরিত হয়েছে হত্যা মামলায়। এরপর থেকেই সরগরম নেটদুনিয়া। সামাজিকমাধ্যমে অভিযোগ-পালটা অভিযোগ করছেন অভিনেতার ভক্ত-অনুরাগীসহ বিনোদন জগতের তারকারা। 

এদিকে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ মন্তব্য করে বলেছেন, সত্যিকার অর্থে সালমান শাহকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কিনা তার সন্দেহ আছে। 

 

প্রসূন আজাদ বলেন, আমার ধারণা— সালমান প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব ছিল।  কারণ স্টারদের স্টারডম সবাই ভালোবাসে। তার একাকিত্ব তাতে কমে না।

সালমান খানের মা নীলা চৌধুরী ও সাবেক স্ত্রী সামিরা হককে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন অভিনেত্রী। সালমানকে কেউ কখনো নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেননি উল্লেখ করে প্রসূন আজাদ আরও বলেন, তার মা নীলা চৌধুরী কিংবা স্ত্রী সামিরা কেউ আদৌ নিঃস্বার্থভাবে তার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল কিনা সন্দেহ রয়েছে। সফলতার চরমতম স্বাদ পাওয়ার পর তারা সব ছেড়ে চলে যায়। 

উল্লেখ্য, সালমান শাহ হত্যা মামলায় ১১ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি করা হয়েছে নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হককে। অন্য ১০ আসামি হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও  রেজভি আহমেদ ফরহাদ।