
সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘বসুন্ধরা’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে নায়ক হিসেবে সিনেমায় অভিষেক হয়েছিল চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের। আর সেই সিনেমাতেই কাঞ্চনে নায়িকা ছিলেন অভিনেত্রী ববিতা। সিনেমাটি ১৯৭৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমা দিয়েই আলোচনায় চলে এসেছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এরই মধ্যে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ব্রেইন টিউমারের অপারেশন হয়েছে লন্ডনে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন, চলছে টার্গেট থেরাপি ও ওরাল কেমো। দেশের অনেক তারকা কাঞ্চনকে নিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। সুদূর কানাডা থেকে দোয়া চাইলেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রথম সিনেমার নায়িকা ববিতা।
ববিতা বলেন, ‘খবরটি শোনার পর থেকেই ভীষণ খারাপ লাগছে। তবে এরই মধ্যে অপারেশন হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুস্থ করে দেবেন। সবার কাছে আমি দোয়া চাই তাঁর জন্য যেন আল্লাহ তাকে দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। সত্যি বলতে কি চলচ্চিত্রে তাঁর যেমন অবদান রয়েছে, অনুরূপভাবে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
‘বসুন্ধরা’ সিনেমার পর একই পরিচালকের ‘ডুমুরের ফুল’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন। ইলিয়াস কাঞ্চন ববিতা আমজাদ হোসেনের ‘সুন্দরী’ সিনেমাতে অভিনয় করেও বেশ সাড়া ফেলেছিলেন। এরপরেও তারা দু’জন ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘শেষ উপহার’, ‘সাক্ষী’, ‘একজন বিদ্রোহী’সহ আরো বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। শাবানার বিপরীতে একটি সিনেমাতেই কাঞ্চন অভিনয় করেছেন। আজিজুর রহমান বুলি পরিচালিত সে সিনেমার নাম ‘শেষ উত্তর’। তবে ইলিয়াস কাঞ্চন জুটি হয়ে সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছেন চম্পা, দিতি ও অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে।
এদিকে সড়ক পথে সাধারণ মানুষের নিশ্চিত জীবনের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন করে যাচ্ছেন দেশীয় চলচ্চিত্রের দর্শক সমাদৃত এই নায়ক। নিসচা (নিরাপদ সড়ক চাই) এর চেয়ারম্যান তিনি। দীর্ঘ ২৭ বছরে ইলিয়াস কাঞ্চনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার এই ব্যক্তিগত আন্দোলন এখন সামাজিক এক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।