
জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা। গান নিয়ে ব্যস্ততা থাকে সব সময়ই। বেশির ভাগ সময়ই দেশ-বিদেশের স্টেজ শোতে অংশ নেন এই শিল্পী। পাশাপাশি নতুন গানের কাজ নিয়েও থাকে ব্যস্ততা।
কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
একের পর এক স্টেজ শো করছেন...
সেটা বলতে পারেন।
অনেক শিল্পীই হা-হুতাশ করছেন, তাদের শো নেই। অথচ আপনি শো ফেরত দিচ্ছেন...
সারা জীবন গানের পেছনেই সময় ব্যয় করেছি। সেই ছোট্ট সালমার কথা মনে করেন। ঢাকায় এসেছিলাম গানকে সঙ্গী করেই। এর বাইরে আমার কখনো কোনো চিন্তা ছিল না। অন্যরা কেন শো পাচ্ছেন না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। হয়তো আয়োজকদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নয়তো কোনো দলের সমর্থক হিসেবে ট্যাগ পড়েছে। এমনিতে স্টেজ শো তো হচ্ছে নিয়মিত।
আপনি কী কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন না?
সহজভাবে বলতে গেলে, আমি একজন শিল্পী। ১৮ কোটি মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কেন একটা দলের সমর্থক হয়ে আমার ভক্তদের মন ভেঙে দেব? যে কেউ যেকোনো দলের সমর্থক হতেই পারে। তবে শিল্পীদের দল করা উচিত বলে মনে করি না। এর আগে অনেকেই আমাকে রাজনীতি করার জন্য প্রণোদিত করেছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে সরে এসেছি। আসলে আমার যোগ্যতা নেই এমন ব্যাপার না কিন্তু! পড়াশোনা করেছি আইন নিয়ে। বুঝতে পারছেন রাজনীতির নাড়ি-নক্ষত্র অনেকটাই বুঝি। তার পরও সরে এসেছি। ওই যে! আমার তো লোভ কম। একটা সময় নির্মাতারা আমাকে নায়িকা হওয়ার জন্যও অনেক বলেছেন। সেটাও কখনো হইনি। শুধু গানটাই করতে চেয়েছি।
গান রেকর্ডিং কমিয়ে দিয়েছেন মনে হয়...
ঠিক ধরেছেন। আসলে শিল্পীদের মৌসুম আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যাকে বলে উইন্টার সিজন। এখন প্রচুর স্টেজ শো। আমার তো আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত শো চূড়ান্ত করা আছে। এখন যে শোগুলো আসছে সেগুলো ফেব্রুয়ারির। এই সময়ে গান রেকর্ডিং করার মতো অবসর নেই। একটা মৌলিক গান গাইতে গেলে মনে ধারণ করতে হয়। এখন তো সেই সুযোগ নেই। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির পর থেকে আবার পুরোদমে রেকর্ডিং শুরু করব।
লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন আর আমাদের মাঝে নেই। তাঁর উত্তরসূরি হতে চান?
আমার সেই যোগ্যতা আছে বলে মনে করি না। ফরিদা পারভীন একজনই। তিনি যে জায়গা করে নিয়েছেন কেউ চাইলে সেটা আর অর্জন করতে পারবেন না। হ্যাঁ, আমিও মনে-প্রাণে সাঁইজিকে ধারণ করি। তাঁর গান করি। কিন্তু ফরিদা পারভীন সরাসরি লালনকন্যা। আমরা বড়জোর চেষ্টা করছি কিছু একটা হওয়ার।
‘ল’তে পড়েছেন। পেশাদার আইনজীবী হিসেবে কবে পাব আপনাকে?
হা হা হা। এই দিকে আমাকে পাবেন না। ছোটবেলা থেকে একটা কথা জেনে এসেছি, দুই নৌকায় পা দিতে নেই। তাতে একূল ওকূল—দুটোই যায়। আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে আরো পড়াশোনা দরকার। তখন গান-বাজনা করব কিভাবে? আর গান-বাজনা থেকে দূরে থাকলে তো আমার ঘুম হবে না, শান্তিও পাব না।