Image description
প্রথম ধাপের চুক্তিতে ইসরায়েল-হামাসের সই

দুই বছরের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পর অবশেষে এক আশাব্যঞ্জক খবর নিয়ে ঘুম ভাঙল গাজাবাসীর। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েল প্রথম ধাপের শান্তি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। এ চুক্তি এখন বাস্তবায়িত হলে তা অবরুদ্ধ উপত্যকায় চলমান হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটাবে বলে আশা সবার।

গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তির লক্ষ্যে উভয়পক্ষ প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপে রাজি হয়েছে বলে ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা যুদ্ধের অবসানে গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রকাশিত ২০ দফা শান্তি চুক্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ইসরায়েল ও হামাসের পাশাপাশি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই শান্তি চুক্তির এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। এ খবর প্রকাশের পরই গাজা ও ইসরায়েলে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনিরা সন্দিহান হলেও জীবন ও ঘর পুনর্গঠনে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষ আহত ও গাজা উপত্যকাকে প্রায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া ইসরায়েলি এই যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের একটি কমিশন গণহত্যার শামিল বলে অভিহিত করেছে।

কী ঘটেছে বুধবার

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাস তার গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে রাজি হয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সব বন্দিকে ‘খুব শিগগির’ মুক্তি দেওয়া হবে এবং চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল তাদের সেনা নির্ধারিত সীমারেখায় প্রত্যাহার করে নেবে।

এই ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, শান্তি পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য সফরের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পরপরই প্রথমবারের মতো ওই ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি এই পরিকল্পনাকে গাজা যুদ্ধ অবসানের রূপরেখা হিসেবে উপস্থাপন করেন।

গতকাল ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেছেন, আগামী সোমবার নাগাদ ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পেতে পারেন।

বুধবার হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যখন ট্রাম্পের হাতে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন, তখন এই চুক্তির সম্ভাবনা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। চিঠিটি পড়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বার্তা দিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি এবং খুব শিগগির আমাকে তাদের প্রয়োজন পড়বে।’

অনুষ্ঠানটি শেষ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করার জন্য এখন যেতে হবে।’ হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, সেই চিঠিতে প্রেসিডেন্টকে ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে তিনিই প্রথম এই চুক্তির ঘোষণা দিতে পারেন।

হামাস-ইসরায়েল ঠিক কী বিষয়ে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প

ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করেছে। সব জিম্মিকে খুব শিগগির মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েল তাদের সেনাদের নির্ধারিত সীমারেখায় প্রত্যাহার করবে। এটি হবে স্থায়ী ও দৃঢ় শান্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ। সব পক্ষকে ন্যায়সংগতভাবে আচরণ করতে হবে। কাতার, মিসর ও তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এই ঘোষণা গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ট্রাম্পের আট মাসের প্রচেষ্টার মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনী প্রচারের সময় গাজা যুদ্ধের অবসানকে পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

চুক্তিতে বড় সংকটগুলো

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই চুক্তি যুদ্ধ অবসানের আশা জাগালেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, ‘ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এখনো কিছু গুরুতর মতপার্থক্য রয়েছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে, ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের সময় ও পরিসর, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসনের কাঠামো এবং হামাসের ভবিষ্যৎ।

তিনি বলেন, আপনি বলতে পারেন, প্রথম ধাপের প্রাথমিক অংশটি কার্যকর হচ্ছে। তার মতে, উভয়পক্ষই বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে কিছু মৌলিক কাঠামোতে একমত হয়েছে।

(ট্রাম্পের) পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস জিম্মিদের হস্তান্তর করার পর যুদ্ধ শেষ হওয়ার কথা। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস নিরস্ত্র হলেই শুধু যুদ্ধ শেষ হবে।

জিম্মিদের মুক্তি কখন

বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সিন হ্যানিটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, জিম্মিদের সোমবারের মধ্যেই মুক্তি দেওয়া হতে পারে। এমনকি যাদের মরদেহ রয়েছে, তাদেরও ফেরত দেওয়া হবে।

হামাসের একটি সূত্র বলেছে, ইসরায়েলি সরকারের চুক্তিতে অনুমোদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। আর ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, এই প্রক্রিয়া শনিবার থেকেই শুরু হতে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, পুরো শান্তি প্রক্রিয়ায় ইরানও অংশ নেবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

গাজায় হামাসের হাতে এখনো অন্তত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মি জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে। হামাসের অতর্কিত সেই হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন।

ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কী

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইসরায়েলের জন্য এটি এক মহান দিন।’ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করার এই পবিত্র মিশনে নিযুক্ত থাকার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় আমরা একসঙ্গে আমাদের সব লক্ষ্য অর্জন করব এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি আরও জোরদার করব।

হামাস কী বলছে

হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চুক্তিতে গাজা যুদ্ধের অবসান, দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার, ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি এবং বন্দি বিনিময়ের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠন চুক্তিতে মধ্যস্থতার জন্য কাতার, মিসর, তুরস্ক ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পক্ষকে দখলদার ইসরায়েলি সরকারকে চুক্তির সব শর্তের পূর্ণ বাস্তবায়নে বাধ্য এবং কোনোভাবেই যেন তা এড়িয়ে যেতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ‘আমরা গাজা উপত্যকা, জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের আমাদের মহৎ জনগণকে স্যালুট জানাই, যারা অতুলনীয় গৌরব, বীরত্ব ও মর্যাদার পরিচয় দিয়েছেন। এই বিশাল ত্যাগ ও অবস্থানই ইসরায়েলি দখলদারদের দমন ও উচ্ছেদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় অধিকার—স্বাধীনতা, মুক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবির বিষয়ে কখনোই আপস করবে না হামাস।

গাজার বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া কী

গাজা উপত্যকা থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা, বিশেষ করে গাজার জনগণ এই চুক্তির খবরে উল্লাসের পাশাপাশি সতর্কতার সঙ্গে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ থেকে তিনি বলেন, দুই বছরের ধ্বংসযজ্ঞ, বাস্তুচ্যুতি ও ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতির পর যুদ্ধবিরতির খবর শুনে অনেক পরিবার উল্লাসে ফেটে পড়েছে। মানুষ মরিয়া হয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে পুনর্মিলনের অপেক্ষায় আছে। এমনকি যাদের হারিয়েছে তাদের জন্য শোক প্রকাশের সময়টুকুও চায় তারা। তবে এখনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি এবং ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

কী বলছেন বিশ্বনেতারা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, নেতা ও সংগঠন গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে হামাস-ইসরায়েলের স্বাক্ষরের ঘটনায় স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমি এই অতি প্রয়োজনীয় অগ্রগতির মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর ও তুরস্কের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার চুক্তিতে পৌঁছানোর খবরে বলেছেন, ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ যেন কোনো ধরনের কাল বিলম্ব ছাড়াই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি ও গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি তাদের কিছুটা স্বস্তি দেবে এবং স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত করবে।’

সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েল

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় অপারেশনাল প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী—আইডিএফ। যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পরই আইডিএফের তরফ থেকে এই ঘোষণা এসেছে। দ্য গার্ডিয়ান ও আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে, তারা হামাসের সঙ্গে জিম্মি-যুদ্ধবিরতি সমঝোতা চুক্তির অংশ হিসেবে গাজা উপত্যকা থেকে আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

এরপর কী হবে

নেতানিয়াহু বলেছেন, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই চুক্তি অনুমোদন পাওয়ার পর সেনাদের প্রত্যাহার শুরু হবে। এর ৭২ ঘণ্টা পর হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক এইচএ হেলিয়ার আলজাজিরাকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি যাতে কার্যকর থাকে, সেই বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ কতটা অব্যাহত থাকবে, সেটিই এখন মূল বিষয়। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিভিন্ন ধাপের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিপরীতে যাওয়া এক সিদ্ধান্ত।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্প মিশর সফরে যাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহুও তাকে ইসরায়েলি সংসদে বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সম্ভবত সফরে গিয়ে ইসরায়েলি সংসদে বক্তব্য দেবেন।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসন তদারকির জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘বোর্ড অব পিস’ গঠন করা হবে। এই বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ট্রাম্প নিজে এবং এর সদস্যদের মধ্যে থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা, যার মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও।

প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরই গাজা পুনর্নির্মাণ করা হবে: ট্রাম্প

ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর অঞ্চলটিকে পুনর্নির্মাণ করা হবে। যাতে সেখানে মানুষ ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তখন এক ভিন্ন পৃথিবী তৈরি হবে এবং গাজার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, ‘গাজা আমাদের বিশ্বাসে অনেক বেশি নিরাপদ জায়গায় পরিণত হবে। এটি আবার গড়ে উঠবে। আশপাশের দেশগুলোও গাজা পুনর্গঠনে সহায়তা করবে। কারণ, তাদের বিপুল সম্পদ রয়েছে এবং তারা এটি ঘটতে দেখতে চায়।’