Image description

আলোচিত নাট্য অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে পিছমোড়া করে বেঁধে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। এরপর জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার গুলশানে ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

এদিন দুপুরে কারাগার থেকে সিদ্দিকুর রহমানকে আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়। এরপর দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে তাকে হাজতখানা থেকে বের করে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তাকে পেছনে হাত রেখে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে এজলাসে তুলতে দেখা যায়। পরে এজলাসে তুলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সামিউল ইসলাম গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির দিন বুধবার ধার্য করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে গ্রেপ্তার দেখানোর জোর দাবি জানান। পরে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। আদেশ শুনে সিদ্দিক হাসতে থাকেন।

এরপর তাকে ফের হাজতখানায় পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, নাট্য অভিনেতা থেকে পিছমোড়া করে কারাগারে। আপনার কিছু বলার আছে কি না। এ সময় তিনি কোনো উত্তর দেননি। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, তার রাজনৈতিক খায়েশ ছিল। এজন্য জুলাই আন্দোলনে তিনি মদদ দিয়েছেন। অংশগ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে। এজন্য তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

মামলার বিবরণী থেকে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী। জুমার নামাজের পর আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা মো. সবুজ ২ জুলাই গুলশান থানায় মামলা করেন।

গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করে। মারধর করে রমনা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে রমনা মডেল থানা পুলিশ। পরদিন তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৭ মে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।