
ব্যক্তিজীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিতর্ক যেন তাঁর জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। পরীমণি নিজেও এ বিষয়টা অনুধাবন করেন। তবে সমস্ত তর্ক-বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চান তিনি। তাই নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে পরীমণি বলেন, ‘আমি যত চাই ঝামেলাগুলো এড়িয়ে, নিজেকে আড়াল করে জীবনটা উপভোগ করব; ততই ঝামেলাগুলো আমার ওপর জেঁকে বসে। তাই বিশ্বাস করা শুরু করেছি, সমস্ত ঝামেলা নিয়েই আমাকে বাঁচতে হবে।’ ঝামেলা জীবনের সব সময়ের সঙ্গী হলেও নতুন করে আর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চান না পরী। তাই শিখছেন এড়িয়ে চলতে।
পরীমণি বলেন, ‘আমি আসলে এনজয় করা ছেড়ে দিয়েছি। কাজ এবং দুই বাচ্চাকে নিয়ে থাকতে চাই। আমি আসলে আর কষ্ট নিতে চাই না। এত কষ্ট নেওয়ার আর জায়গা নেই। এখন একটা জিনিস খুব শিখেছি, অ্যাভয়েড করা। জাস্ট অ্যাভয়েড করো এবং সুখে থাকো।’
পরীমণি আরও বলেন, ‘আর দশ জন মানুষের মতো আমারও রাগ, দুঃখ, কষ্ট, অভিমান হয়। আমি সবকিছু নিতে পারি না। দুম করে রিঅ্যাক্ট করে ফেলি। সেই রিঅ্যাকশনটা মানুষ নিতে পারে না। মানুষ বলে নায়িকা মানুষ এটা করা যাবে না। এই বাউন্ডারির মধ্যে যখন পড়ে গেছি, তখন আমার মনে হয় জাস্ট অ্যাভয়েড করি।’ পরীমণিকে সবশেষ দেখা গেছে ‘ফেলুবক্সী’ নামের টালিউড সিনেমায়। গত জানুয়ারিতে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয়েছে তাঁর। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। নতুন কাজের খবর জানতে চাইলে এখানেও দিলেন বদলে যাওয়ার আভাস। এখন আর আগে থেকে কথা না বলে সম্পূর্ণ শেষ করেই দিতে চান কাজের খবর। অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন আর হুটহাট করে কোনো কাজের খবর দিতে চাই না। আগে কাজটা ঠিকভাবে শেষ করতে চাই। সবকিছু শেষ হওয়ার পরই দর্শককে জানাতে চাই।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের শোবিজ তারকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ অনুসারী পরীমণির। কিন্তু অভিনেত্রী মনে করেন, কাজের ক্ষেত্রে ফলোয়ার অতটা মুখ্য নয়। তাঁর ভাষ্য, ‘আমার এত ফলোয়ার কিন্তু সবাই তো হুমড়ি খেয়ে আমার সিনেমা দেখছে না। এমনও আছে, যার কোনো ফলোয়ার নেই, তার সিনেমাও সুপারহিট হয়েছে। ফলোয়ার বা ভিউ দিয়ে কোনো কিছু হয় না। দর্শকের কাছে কাজটি পৌঁছে দেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।’