Image description

গত মাসেই ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘লগআউট’ সিনেমার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন প্রয়াত বলিউড তারকা ইরফান খানের পুত্র বাবিল খান। তবে এবার তরুণ এই অভিনেতা আলোচনায় ভিন্ন কারণে।
কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই আজ সকালে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন বাবিল। এ সময় তাঁকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়।

ভিডিওতে বাবিল বলেন, ‘বলিউড একটা জঘন্য জায়গা। বলিউডের লোকজন খুবই রূঢ়।’

একটি ওয়েব সিরিজের দৃশ্যে বাবিল খান
একটি ওয়েব সিরিজের দৃশ্যে বাবিল খানছবি: ইনস্টাগ্রাম

এখানেই শেষ নয়, অনন্যা পান্ডে, অর্জুন কাপুর, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, শানায়া কাপুর, রাঘব জুয়াল, আদর্শ গৌরব ও অরিজিৎ সিংয়ের নামও উল্লেখ করেন তিনি। তবে ঠিক কী কারণে হঠাৎ ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি, তা স্পষ্ট নয়। বলিউডের বৈষম্য নিয়ে তিনি ভেঙে পড়েছেন বলে অনুমান অনুরাগীদের। তবে কিছুক্ষণ পরই ভিডিওটি মুছে দেন বাবিল, পরে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেন। যা নিয়ে নানা রকম আলোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

আজ বিকেলে বাবিলের পরিবার ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। যেখানে তাঁর কথাকে ‘ভুলভাবে’ প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

‘লগআউট’ সিনেমার পোস্টার থেকে। আইএমডিবি
‘লগআউট’ সিনেমার পোস্টার থেকে। আইএমডিবি

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কয়েক বছর ধরে বাবিল খান তার কাজের জন্য, সেই সঙ্গে তার মানসিক স্বাস্থ্যের যাত্রা সম্পর্কে খোলামেলা বক্তব্যের জন্য ভালোবাসা ও প্রশংসা পেয়েছে। অন্য যে কারও মতো, বাবিলেরও কঠিন সময় পার করতে হয়। এটি (ভিডিও বার্তা) ছিল তেমনই একটি। আমরা তার সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে সে নিরাপদে আছে।’ বাবিল শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও দাবি করা ভিডিও বার্তায় বাবিল যেসব বলিউড তারকার নাম বলেছেন, তাঁদের সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলেননি; বরং এসব তারকা হিন্দি সিনেমার ইন্ডাস্ট্রি বদলে দিচ্ছেন, সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাবিল আন্তরিকভাবে তার কয়েকজন সহকর্মীকে স্বীকৃতি দিচ্ছিল। সে বিশ্বাস করে, তাঁরা ভারতীয় চলচ্চিত্রের ক্রমবর্ধমান দৃশ্যপটে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। অনন্যা পান্ডে, শানায়া কাপুর, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, রাঘব জুয়াল, আদর্শ গৌরব, অর্জুন কাপুর ও অরিজিৎ সিংয়ের মতো শিল্পীদের নাম সে উল্লেখ করেছে তাঁদের সতাতা, আবেগ ও প্রশংসার জায়গা থেকে।’ কেবল ভিডিও ক্লিপ দেখে বাবিল সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্তে না আসার জন্যও গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ করা হয়।