Image description

আবদুন নুর সজল। অভিনেতা। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ‘জ্বিন থ্রি’। ঈদে অনেক সিনেমার ভিড়ে এ সিনেমাটি নিয়েও আগ্রহ ছিল। পরে অবশ্য বিপরীত চিত্র দেখা যায়। সিনেমাটির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় সজলের সঙ্গে। 

‘জ্বিন থ্রি’ মুক্তি পেল ঈদে। কেমন সাড়া পেয়েছেন?
সাড়া আসলে মিশ্র। যারা দেখেছেন, তারা বেশ প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে ‘কন্যা’ গানটি নিয়ে অনেক ভালো রেসপন্স পেয়েছি। এটি অনেক বড় প্রাপ্তি।

‘কন্যা’ গানটি নিয়ে তো বেশ আলোচনা, শোনা যায় জ্বর নিয়েও শুটিং করেছেন?
হ্যাঁ। সত্যি কথা বলতে তখন প্রায় ১০২ ডিগ্রি জ্বর ছিল আমার। শিডিউল, ইউনিটের প্রস্তুতি–সব মিলিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। আমি চেয়েছিলাম গানটি যেন ঠিকঠাকভাবে হয়। কারণ, গানটি গল্পের আবেগী মুহূর্তের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিলে যায়। সেই কষ্টটা কাজ করেছে বলে মনে করি। দর্শক গানটা খুব পছন্দ করেছে।

তাহলে এত পরিশ্রমের পর সিনেমাটি এত দ্রুত হল থেকে নামানো কষ্ট দেয়নি?
অবশ্যই দিয়েছে। একজন শিল্পী হিসেবে আপনি চান, আপনার কাজটা মানুষ দেখুক। আমরা সবাই খুব কষ্ট করেছি এই সিনেমার জন্য। আমাদের দেশের হলসংখ্যা কম। পাশাপাশি অনেক সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পেলে এমনটা হয়ে যায়। তবুও দর্শকের ভালোবাসা পেলে কষ্টের কিছুটা ভার হালকা হয়।

‘জ্বিন’ সিরিজে প্রথম আপনাকে দেখা গেছে। ধারাবাহিকভাবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
এটি একটি ইউনিক অভিজ্ঞতা। প্রথম ‘জ্বিন’ করি। পরের পার্টে আমি ছিলাম না। সিনেমাটির আগের দুই কিস্তি দর্শকের কাছ থেকে অভাবনীয় ভালোবাসা পেয়েছে, যে কারণে ‘জ্বিন থ্রি’ নিয়ে আসা। প্রাপ্তি আসলে অনেক কিছু। সবাই চায়, একটি সুন্দর গল্পে কাজ করা। চমৎকার একটি গল্প পেয়েছি। মূলত গল্পের কারণে দ্বিতীয় কিস্তিতে আমি ছিলাম না। পরেরটায় আবার গল্পের প্রয়োজনে আসা। এবার ‘জ্বিন থ্রি’–প্রতিটি কিস্তিতেই গল্পের বাঁক বদলেছে, চরিত্রগুলো আরও গভীর হয়েছে। একই সিরিজে থেকেও প্রতিবার ভিন্নভাবে নিজেকে তুলে ধরতে হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রের ভেতরে আরও ডুবে যেতে। আমার কাছে পরীক্ষামূলক কাজ বেশি পছন্দ। জ্বিনের চরিত্রটি তেমনই একটি চরিত্র। 

আগের কিস্তিগুলোর তুলনায় এবার ‘জ্বিন থ্রি’তে আপনার চরিত্রে কী ভিন্নতা ছিল?
এই কিস্তিতে আমার চরিত্রটা ছিল আরও রহস্যময়, আবেগপ্রবণ এবং ঘটনাপ্রবাহের মূল চালিকাশক্তি বলা যায়। আগেরগুলোতে যেভাবে দর্শক আমাকে দেখেছেন, এবার হয়তো আরও এক ধাপ সিরিয়াস এবং ইনটেন্স এক্সপ্রেশন তারা পেয়েছেন। পরিচালকও চেয়েছিলেন একটু ডার্ক টোনে যাওয়া, যেটি আমার জন্য ছিল চ্যালেঞ্জিং এবং উপভোগ্য।

সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
দর্শকদের বলব– বাংলাদেশি সিনেমা দেখুন, হলে গিয়ে দেখুন। আমাদের উৎসাহটা আপনাদের হাতেই। ‘জ্বিন থ্রি’ যারা মিস করেছেন, তাদের বলব এখনও হলে সিনেমাটি চলছে। দেখে আসতে পারেন। 

আপনি নাকি নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচার হওয়া বিদেশি সিরিজ ‘ম্যাকগাইভার’ হয়ে উঠছেন?
বিষয়টি তেমন না। ‘ম্যাকগাইভার’ আমারও দারুণ প্রিয় সিরিজ। বিটিভিতে প্রচারের পর ম্যাকগাইভার চরিত্রের ভক্ত হয়ে উঠেছিল অনেকে। চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে ম্যাকগাইভারের ভিউকার্ড, স্টিকার ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। বিক্রিও হতো দেদার। এই ম্যাকগাইভারের বাংলা ডাবিং নিয়ে এসেছে এসআরকে স্টুডিও। এবার নতুনভাবে সাজানো হয়েছে বাংলা ডাবিং। এতে ম্যাকগাইভার চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছি আমি।