রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকা আরো একজন লেখক মৃত্যুবরণ করলেন। লেখক মুশতাক নামের এই বামপন্থী লোকটি খুব পরিচিত কোনো মানুষ নন। তাকে কেনইবা গ্রেফতার করা হলো, কেনইবা এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হলো তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এটা জানা সম্ভব হয়েছে যে, তিনি ভিন্নমতের লোক, অর্থাৎ সরকারের সমর্থিত কোনো মানুষ নন। তার মৃত্যুতে সরকার কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
ভাবখানা একটা লোকের মৃত্যু এমন কী! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরং বলেছেন, মুশতাক আগেও অন্যের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত করেছিলেন। এটাই যেন একটি মৃত্যুর সব সমাধান। মানুষের মৃত্যু নিয়ে এতটা অবহেলা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে দেখানো হয় কি? তার মৃত্যু নিয়ে মিছিল করতে নেমে প্রতিবাদীরা পুলিশের বেধড়ক পিটুনি খেয়েছে। মানুষের দাম বাংলাদেশে যেন এতটাই বিদ্রুপের এবং অবহেলার। বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রশ্ন উঠেছে। বাস্তবে কোনো তদন্ত হয়তো হবে না। একসময় হয়তো আমরা সবাই ভুলে যাবো, মুশতাকও সবার স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাবেন।
বিএনপির মিছিল আবার পুলিশের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে গেল। ছাত্রদলকে মিছিল করতে দিয়ে পুলিশি অ্যাকশনের ছবি বিভিন্ন দৈনিকে ছাপা হয়েছে। গণতন্ত্রের এই দুর্দশা দেখে বিএনপি শেষ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্ভবত এটা ‘দেখে ও ঠেকে শেখা’। কয়েক দফায় পৌর নির্বাচন হলো সম্প্রতি। বিএনপিকে ভোটের কাছেও যেতে দেয়া হলো না।
অপর দিকে সরকার নীতিকথা বলার সময় বিরোধী দলের গুরুত্বের ওপর বেশ জোর দেয়ার ভান করে বলেই প্রতীয়মান। কারণ বাস্তবে চর্চাটা করে ঠিক উল্টো।
সম্প্রতি উন্নয়নশীল দেশে আমাদের উত্তরণের খবর পেলাম। যেসব সূচক দিয়ে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে উন্নয়নের কথা অর্থনীতিবিদরা বলেন তাতে ‘শুভঙ্করের ফাঁক’ রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরাই। জানি না, বাস্তবতা কী! তবে দেশের যে ‘কসমেটিক উন্নয়ন’ হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই অর্থনীতিবিদদের উচিত বিষয়টা আরো খোলাসা করে ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে তাদের বোধগম্য ভাষায় পরিষ্কার করে বলা। তবে দেশের উন্নয়ন হলে আমরা অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানাব। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস যখন বললেন রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সবার অভিন্ন লক্ষ্য হওয়া উচিত, তখনও সাগরে ভাসছে ট্রলারভর্তি অগণিত রোহিঙ্গা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমাদের আর কিছুই করার নেই।’ এর কারণও যথেষ্ট যৌক্তিক। কারণ বাংলাদেশ আর কত মানবিক হবে, নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে? ভাসমান রোহিঙ্গারা শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে নিজেদের নোঙর করবে? নাকি শেষ পর্যন্ত মৃত্যুই তাদের ললাটের লিখন? বঙ্গোপসাগরের ওপারে আন্দামান, নিকোবর, অন্য দিকে সাগর পাড়ি দিয়ে করাচি। মিয়ানমার তো বিক্ষোভকারীদের পাখির মতো গুলি করে মারছে। গেল সপ্তাহের খবর হচ্ছে গুলিতে ১৮ জন নিহত হয়েছে সেখানে। জানি না, রোহিঙ্গারা শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে টিকে থাকবে কি না। তবে এবার আসিয়ানের আহ্বান শুনলাম, তারা মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্য দিকে, দেশটিতে ফের গুলি করা হয়েছে, ২৫ জন সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছেন।
এ দিকে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার জন্য সৌদি যুবরাজকে দায়ী করেছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট। তবে সৌদি আরব বিষয়টা প্রত্যাখ্যান করেছে। যুবরাজ একজন সম্ভাবনাময় তরুণ। তিনি স্বদেশকে আধুনিকতার ছোঁয়া দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এখন সে দেশে নারীরা গাড়ি চালাতে পারেন, সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারেন। ‘আধুনিকতা’ বলতে যা বুঝায় তার ছোঁয়া সৌদি আরবে লেগেছে। মক্কা-মদিনা পবিত্র নগরী, এই দুটো স্থান ছাড়া দেশে সর্বত্র এর ছোঁয়া চোখে পড়ে। জানি না, শেষ পর্যন্ত যুবরাজের ভাগ্যে কী আছে! খাশোগি হত্যার শেষ পরিণতিইবা কী হচ্ছে। মার্কিনিরা সৌদি আরবের মিত্র। তারা কোন উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করে দিলো? নিশ্চয়ই এর একটা শেষ পরিণতি আছে। তা ছাড়া সৌদি রাষ্ট্রে এক যুবরাজ অন্য যুবরাজকে ক্ষমতার লড়াইয়ে বিনা দ্বিধায় হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। দেশটি সরকারের সমালোচনা চলে না। তারা ইসরাইলকে নিয়েও ইতিবাচক ভাবতে আগ্রহী। তাই ইসলাম আর সৌদি আরব হুবহু একই মনে করা যায় না, যদিও অনেক মানুষ মনে করে সৌদি আরব মানেই ইসলাম ও মুসলমান স্বার্থের রক্ষক। বাস্তব পরিস্থিতি এখন অনেকটা ভিন্ন। সৌদি আরবের জাতীয় পতাকায় কালেমা রয়েছে, আর রয়েছে তলোয়ার, দুটোই ইনসাফের প্রতীক। বাস্তবে ‘লঙ্কায়ও চোর আছে। মক্কায়ও পাপী আছে’। তবে আমরা চাই খাশোগি হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হোক এবং এর ইনসাফপূর্ণ বিচার হোক।
ভিন্নমতে হামলাকারীদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা বলে নতুন বাইডেন প্রশাসন নতুন নীতি ঘোষণা করেছে। এর কি সুফল পাওয়া যাবে? পৃথিবীজুড়ে ভিন্নমত দলন একটি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনও এ নীতির প্রতি নিষ্ঠাবান ছিল না। এখন বিশ্ব দেখতে চায়- এই নীতির বাস্তবতা কতটুকু। অবশ্য বাইডেন প্রশাসনের ১০০ দিনের যে খসড়া জানা গেছে, তাতে মনে হয় মার্কিন নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। এবার দেখার পালা মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে মার্কিন নীতির কী প্রতিফলন ঘটে। আর সৌদি ইস্যুতে তারা কতটা অগ্রসর হন।
‘ক্ষমতার স্বাদ’ নামে একটা মানবিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য সাধারণভাবে মানুষের ভেতর কুপ্রবৃত্তি হিসেবে বসবাস করে। সেটিকে জয় করেই মানুষ মানবিক হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের ক্ষমতারও একটা সীমা আছে। তবে তাদের নীতির একটা নৈতিক প্রভাব উন্নত বিশ্ব, উন্নয়নশীল দেশ ও হতদরিদ্র দেশগুলোর বেলায় প্রভাব ফেলে। এই নৈতিক প্রভাবটুকু বাংলাদেশের ব্যাপারে খুব বেশি জরুরি। বাংলাদেশে ভিন্নমত সহ্য করা হয় না। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে তিন বছরের মাথায় আমরা উন্নয়নশীল দেশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বাস্তবে নৈতিক মান উন্নয়ন সম্ভব হবে না। কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকতা পাবে না। সেটি না হলে ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক কিছু আশা করা সম্ভব হবে না।
এ দিকে ইতোমধ্যে ইসির বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। বিতণ্ডায় কমিশনার মাহবুব তালুকদার বরাবরের মতোই বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া নির্বাচন কোনো নির্বাচনই নয়। এর দায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। অন্য দিকে সিইসি বলেছেন, মাহবুব তালুকদারের কাজ হচ্ছে কমিশনকে হেয় কিংবা বিতর্কিত করা। জাতীয় ভোটার দিবসে দেশে ১১ কোটি ১৭ লাখ নাগরিককে ভোটার হিসেবে বলা হয়েছে। এর কত ভাগ এখন ভোটে অংশ নেয় সেটি এক বিরাট প্রশ্নই বটে। তাই বলেছিলাম, ভোটাররা মনে করে ভোট দিয়ে কী লাভ? ভোট তো একতরফা, তাই বাস্তবতা যা হওয়ার তাই হচ্ছে। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য, সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেটিই করা উচিত। বিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজ রাষ্ট্রপতির কাছে পর্যন্ত আবেদন করেছে। বিরোধী দলের কথা এখানে না হয় উহ্যই রাখলাম। দেশের ব্যাংকপাড়ায় আবার সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে। এক দিকে বিপুল মূলধন ঘাটতি। অন্য দিকে উদ্বৃত্ত তহবিল বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তদুপরি একশ্রেণীর কাছে টাকার পাহাড়, অপর দিকে বিত্তহীন মানুষের সংখ্যা কমছে না। এখনো বস্তিতে থাকে লাখো মানুষ। শ্রেণীবৈষম্য নিয়ে একটা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়ে কী লাভ? তা ছাড়া বিদেশে প্রচুর টাকা পাচার হচ্ছে। মানুষ বিনিয়োগ না করে ঘরে ঘরে টাকা রেখে দিচ্ছে। কারণ টাকা ব্যাংকে দেখালে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআর সেই টাকায় ভাগ বসাতে পারে বলে শঙ্কা। ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে।
বিদেশের ব্যাংকে কার কত টাকা আছে সেটি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য দুদক চেয়ারম্যান, বিসিআইসি প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ অর্থ সচিবের ওপর রুল ইস্যু করেছেন। দেখা যাক, এর শেষ কোথায় কি ঠেকে।
ভিন্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। বিষয়টি অনেক ‘অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রাসঙ্গিক’। হিজরি রজব মাস চলছে। এরপর শাবান এবং এরপর রমজান। এই মাসে একটি দোয়া আছে যেটি রাসূল সা: নিয়মিত পড়তেন। এর সারমর্ম হচ্ছে- ‘হে আল্লাহ, আমাকে এতটুকু হায়াত দাও যাতে আমি মাহে রমজান পাই।’ নবী করিম সা: এই রজব মাসে রমজানের বাইরে সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন। যে দোয়াটি তিনি পড়তেন সেটার অর্থ, অনিশ্চিত মৃত্যুর জীবনে মানুষ জন্মমৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করে না, তা করেন একমাত্র আল্লাহ। তাই তিনি দোয়াটি পড়তেন যাতে তার হায়াত এতটুকু পর্যন্ত পান, যাতে তিনি রমজান পর্যন্ত আয়ু পান। এর মাধ্যমে রোজার বা সাওমের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। রজমানে সব কিছুর আমলে কয়েক গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। রমজান মাসেই পবিত্র কুরআন শরিফ নাজিল হয়েছে। ত্রিশ পারা কুরআন এক দিনে নাজিল হয়নি। প্রথমেই অবতীর্ণ হয় হেরা গুহায় ‘পাঠ করো তোমার প্রভুর নামে।’ এরপর মানুষ সৃষ্টির বিষয়টি কিভাবে আল্লাহ করলেন তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। ‘ইকরা’ শব্দের অর্থ পাঠ করা। কুরআন বারবার পঠিত হয়। কুরআন নাজিলের মাস হিসেবে রমজান মাসের সমধিক গুরুত্ব। তা ছাড়া এক মাসব্যাপী রোজা ফরজ করা হয়েছে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হিসেবে। রোজা ফরজ হওয়ার কারণে এই মাসে রোজার এত বেশি গুরুত্ব। অন্যসব রোজা নফল ইবাদত। ইসলামের অন্য চারটি স্তম্ভ হচ্ছে হজ, জাকাত, নামাজ ও ঈমান। এই ঈমান সম্পর্কে আমরা কমই জানি। অথচ সব কিছুর মূলে রয়েছে ঈমান। এটা না থাকলে অন্যসব ইবাদত বৃথা। ঈমান এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে, ঈমান না থাকলে অন্য সব ইবাদতই বৃথা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মানুষ বাস করে। কারো ঈমান না থাকলে তার রোজা, নামাজ, হজ, জাকাত সবই অর্থহীন। পৃথিবীতে অনেক মানুষ ধর্ম বিশ্বাসে আলাদা কিন্তু সব ধর্মই এক সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে। কিন্তু গড, ঈশ্বর নামে যে যে ভাষায়ই বলুক, সৃষ্টিকর্তা একজনকেই মানে। হিন্দুরা দেবদেবীতে বিশ্বাস করলেও একজন যে সৃষ্টিকর্তা আছেন সেটি মনে করে। কিন্তু সেটি বিশ্বাস করে সেই একক সৃষ্টিকর্তার কাছে পৌঁছার জন্য ইসলাম এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ ইসলাম কোনো মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে পৌঁছার কথা বিশ্বাস করে না। এর কারণ সৃষ্টিকর্তা স্বয়ম্ভু। ইসলাম সব আসমানি কিতাব মানে ও এতে বিশ্বাস করে। তবে খ্রিষ্টানরা যিশুকে সৃষ্টিকর্তার কাছে পৌঁছার মাধ্যম মনে করে। এ কারণেই তারা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাস করে থাকে। যিশুকে আমরা ঈসা আ: বলে থাকি। এর বাইরে তারা ‘মেরি’কে যিনি কুমারী মাতা হিসেবে পরিচিত, তিনি বিবাহ ছাড়া সন্তান পেলেন কোথায়? অতঃএব তারা মনে করে নেয়, স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে তিনি জন্ম নিয়েছেন। তাই তারা ‘ত্রিত্ববাদী’ হওয়াটাকে সঠিক মনে করে। কারণ গডের স্ত্রী হিসেবে মেরি বা মরিয়মকে তারা ঈশ্বরের স্ত্রী মনে করে (নাউজুবিল্লাহ)। তার পুত্র নাকি ঈসা বা যিশু। আসলে আল্লাহ নিজের পরিচয় নিজেই দিয়েছেন, সূরা ইখলাসে। তবে আল্লাহ নিজে কোনো কাজ নিজে করেন না। তিনি জিব্রাইলের মাধ্যমে সব কিছু নাজিল করেন। তাই তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল, কুরআন এবং সহিফা যা কিনা অজানা নবীদের মাধ্যমে দুনিয়াতে মানুষের হেদায়েতের জন্য নাজিল করেছেন। তাই সব আসমানি কিতাব মানা আমাদের অর্থাৎ মুসলমানদের ওপর ফরজ। এ কারণেই ‘আহলে কিতাবি’দের আমরা বিশ্বাস করি। তাদের ওপর প্রেরিত কিতাবগুলোকে আমরা বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাস অর্থ, তাদের অনুসরণ নয়। অনুসরণ করতে হবে শুধুই শেষ নবীর আদেশ-নিষেধ। ঈমান আনার সময় এই ঘোষণা দেয়ার শর্তেই মুসলিম ও ইসলামের অনুসারী হওয়া যায়। তাই আমরা কুরআন-সুন্নাহ মানার শর্তেই ঈমানের ঘোষণা দিই। এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস, নবী-রাসূলের ওপর বিশ্বাস, আসমানি কিতাবগুলোর ওপর বিশ্বাস রেখেই ঈমানের ঘোষণা দিতে হয়।
এ বিষয়ে ধর্মতত্ত্ববিদরা অনেক দীর্ঘ আলোচনা করতে পারেন। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান একটি সীমিত পর্যায়ে রয়েছে। তাই আর দীর্ঘ না করে উপসংহার টানাই উত্তম।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন