তারেক রহমান এখন আবার আলোচনায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন। তারেকের ভাগ্যে কী আছে জানি না, তবে একজন রাজনীতিবিদ এভাবেই জাতীয় নেতা হয়ে ওঠেন। এক সময় বলা হতো, শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া। এখন খালেদা জিয়া কারা অভ্যন্তরে, লাইমলাইটে নেই। তার মাঠের স্থানে উঠে এসেছেন তারই জীবিত একমাত্র সন্তান তারেক রহমান।
বলা চলে, বাংলাদেশের দ্বিধারাভিত্তিক রাজনীতিতে তারেক এখন একটি ধারার শীর্ষ নেতার স্থানে উঠে এসেছেন, কিংবা এটাও বলা চলে জেনে হোক বা না জেনে হোক প্রতিপক্ষ দল তাকে তুলে এনেছে। এটা তাকে পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়। রাজনীতির মাঠে উপস্থিতির এটিই স্বাভাবিক ব্যাকরণ। তাই জনগণ বলতে শুরু করেছে, শেখ হাসিনা বনাম তারেক জিয়া। এই তুলনা আরো কিছু দিন এককভাবে খালেদা জিয়ারই প্রাপ্য। বিষয়টি অসম, কিন্তু সরকারি দলই তা বাস্তব করে তুলেছে। এটা তারেক জিয়ার কোনো অর্জন কি না, সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে। একটি ধারার শীর্ষ নেতার অবস্থানে উঠে আসতে তাকে বিশেষ কোনো ভাগ্য সাহায্য করেছে কি না জানি না। তবে তার প্রতি এক ধরনের বাড়তি সম্মান ও সহমর্মিতার একটা ব্যাপার কারো দৃষ্টি এড়ায় না। এটা মানতে হবে, প্রতিপক্ষের রাজনীতিবিদেরা তাকে আজকের অবস্থানে উঠে আসতে সাহায্য করেছেন।
প্রথমত, তাকে এতটা নিন্দাবাদের মধ্যে রাখা হয়েছে- জনগণ কান খাড়া করে বুঝতে চেয়েছে, আসলে তিনি এতটা নিন্দাবাদের যোগ্য, না ‘নিন্দাবাদ’ তার জন্য আশীর্বাদ হচ্ছে। রাজনীতিতে জনগণের সহমর্মিতা যেকোনো নেতার প্রাথমিক পুঁজি। দ্বিতীয় পুঁজি হলো আস্থা বা নির্ভরতার জন্য নিজেকে সততার সাথে প্রস্তুত করা। তৃতীয় পুঁজি সামগ্রিক যোগ্যতা, যা দূরদর্শিতা হিসেবে প্রকাশ পায়।
খালেদা জিয়ার আগামী দিনের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ করবে ‘সময়’। এর বাইরে আগামী দিনের আদালত, রাজনীতি এবং জনগণ সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা। এ রাজনীতির হলাহল তার প্রাপ্য ছিল কি না, সেটা বর্তমান রাজনীতিবিদদের যেমন জবাব দিতে হবে; তেমনি জবাব দিতে হবে বর্তমান শাসকদের। রাজনীতির বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে, কাউকে হিরো বানায়। আবার শীর্ষের অবস্থান পরিবর্তন করে দেয়। এ ছাড়া, কিছু ত্যাগের বিনিময়ে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়াও পাইয়ে দেয়। এটাই রাজনীতির চিরায়ত খেলা। নেলসন ম্যান্ডেলা থেকে শুরু করে অনেক রাজনীতিবিদ আছেন, যারা প্রতিপক্ষের দ্বারা নিন্দিত হতে হতে একসময় এতটাই নন্দিত হলেন যে, বিশ্বের তাবৎ মানুষের হৃদয়কন্দরে জায়গা করে নিতে কোনো অসুবিধা হলো না। তারা ক্ষমতা উপভোগ করেননি, মানুষের ভালোবাসা স্বচক্ষে দেখে গেছেন।
আমাদের জাতীয় নেতারাও কেউ শুরুতে কাক্সিক্ষত মাত্রায় নন্দিত ছিলেন না। আবার অল্প ক’জন জাতীয় নেতা হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন অনেক পরে। নিঃসন্দেহে মানুষের ভাগ্য বিধাতার হাতে। অসম্মান-সম্মানও তার হাতে। কে কিভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন সেটা এমনকি নবী-রাসূলেরাও জানতেন না। কাকে স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখবেন, আর কাকে রাখবেন ঘৃণিত করে, তার ইতিহাস বড়ই নির্মম। ইতিহাস এর সাক্ষী হয়ে আছে। আগামী দিনের ইতিহাসও প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানবে।
আমাদের আজকের শাসকেরা কেউ জানেন না তাদের ভাগ্যে কী লেখা আছে। তার পরিণতি কিভাবে, কোথায় ও কেমন হবে, সেটাও মানুষের অজানা। তাই মানুষ এতটা দুর্বিনীত হওয়া উচিত নয়, যা বিধাতার কাছে পছন্দনীয় হয় না। এতটা অহঙ্কারী হতে হয় না, যা বিধাতার রোষের কারণ। আর বিধাতার রোষানলে যারা পড়েন, তারা মানুষের ঘৃণা কুড়ান, আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হন। নিছক লোক দেখানো কর্ম কাউকে অমরত্ব দেয় না।
এ জন্যই বলা হয়ে থাকে, ক্ষমতা ও পরিচিতি এক ধরনের পরীক্ষা। এটা সম্মানের মতো পরীক্ষার বিষয়, অর্থবিত্তের মতো পরীক্ষার উপাদান। কারণ, ক্ষমতা দেয়া হয় মানুষকে পরীক্ষার জন্য। অর্থবিত্তও দেয়া হয় পরীক্ষার জন্য। সম্মানও একই ভাবে পরীক্ষার বিষয়। আমাদের নবী করিম সা:কে তার বিশ্বাস পরিবর্তনের জন্য মক্কার বনেদি নেতারা নেতৃত্ব তুলে দিতে চেয়েছিলেন। পাহাড়সমান অর্থবিত্ত দিতে চেয়েছিলেন। সুন্দরী নারীর প্রলোভন দেখানো হয়েছিল এবং ক্ষমতার মসনদে বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। তিনি এর কোনোটি গ্রহণ করেননি। তাই তো তিনি মহানবী ও বিশ্বনবী; ইতিহাসের মহানায়কদের শ্রেষ্ঠ নায়ক।
এ ছাড়া, ধর্মীয় ইতিহাসের বাইরেও অনেক মানুষের ক্ষমতা, সম্মান ও অর্থবিত্তের পরীক্ষার প্রমাণ আছে। যারা সফল হয়েছেন, তারা সত্যনিষ্ঠা থেকে এক চুলও নড়েননি, তারা বিশ্বাসগত মহাসত্যের পথ থেকে টলেননি।
এসব কথা বলার অর্থ বাংলাদেশের রাজনীতি বা রাজনীতিবিদদের গায়ে ইতিহাসের বরণীয় ও স্মরণীয় হিসেবে আলখেল্লা পরানো নয়। বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি করেছেন। এখনো রাজনীতির শীর্ষ একটি দল ও ধারার নেতৃত্বের আসনে। তার বিরেুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণসাপেক্ষ। তবে রাজনীতি করা, রাজনীতির মাঠে আপসহীন থাকা বোধ করি তার এই বৈশিষ্ট্যই শাসকদের পছন্দ নয়।
এ খালেদা যেদিন জিয়ার মৃত্যুর পর রাজনীতির মাঠে পা রাখলেন, সেদিন থেকে তাকে দেখে আসছি। তার সুস্পষ্টভাবেই আপসহীন ও নীতিনিষ্ঠ অবস্থান রয়েছে। ভুল তিনি করেছেন মানুষ হিসেবে। অনেক সিদ্ধান্ত হয়তো নিয়েছেন, যা তার জন্য সঠিক ছিল না; কিন্তু দৃশ্যত তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির সেই পরীক্ষিত বোধসম্পন্ন সুশীল নারী। তার তুলনা শুধুই তিনি। তার অনেক বাক্য আছে বিবেচনায় নেয়ার মতো। অনেক বক্তব্য আছে স্মরণ করার মতো। তাই দোষগুণে একজন খালেদা যখন দুর্বল যুক্তির কোনো প্রশ্নবিদ্ধ মামলায় বাংলাদেশের কারাগারে এ প্রবীণ বয়সে অবস্থান করেন, তখন তার পক্ষে কোনো কিছু লেখার গরজ বোধ করি না। বরং যে রাজনীতি তিনি করেছেন, যে রাজনীতির কারণে তিনি আজ কারাগারে রয়েছেন- সেটা অবশ্যই জনগণের পক্ষ থেকে মূল্যায়নের দাবি রাখে।
আশা করি, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও তাকে নিয়ে অবশ্যই ভাববেন। একজন রাজনীতিবিদ এ বয়সে অসুস্থ অবস্থায় এভাবে বন্দী থাকা কতটা নিরাপদ, আর কতটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার; এই বিচারের ভার জনগণের হাতে। কোনো রাজনীতিবিদের জীবনের চূড়ান্ত ইতিহাস বর্তমানের খাতায় লেখা থাকে না। খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার জীবনের শেষ পরিণতিও লেখা থাকতে পারে বিধাতার কাছে, জনগণের কাছে নয়। তাই পরিণতির অপেক্ষা করাই শ্রেয়। কার ভাগ্য কিভাবে লেখা হবে, সেটা দেখার জন্য হলেও জনগণ অপেক্ষা করবে।
অনেকেই জাতীয় দৈনিকে দেখেছেন, মৃত ঘোষিত নবজাতক কবরস্থানে হঠাৎ নড়ে উঠল। এটা কি কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়? প্রতিদিন আমরা অসংখ্য অতিলৌকিক বা অলৌকিক ঘটনার সাথে পরিচিত হচ্ছি। অথচ বুঝতে চেষ্টা করছি না, এসব ঘটনা কি মানুষের শিক্ষার জন্য যথেষ্ট হয় না? এরপরও ভাগ্যবিধাতা বলে কেউ আছেন, তেমন কিছু ভাবতে, মানতে ও বিশ্বাস করতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।
শুরু করেছিলাম তারেক জিয়া দিয়ে। তার জননী হঠাৎ আলোচনায় এসে পড়লেন। তারেকের বাংলাদেশী পাসপোর্ট আছে কি না, এটা কি মুখ্য কোনো বিষয়? তারেক জিয়া এ মুহূর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন। মায়ের সাথে তারও সাজা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন গিয়ে এবার বেশ ‘তারেক চর্চা’ করেছেন, তাতে তার পাসপোর্টের খবরও বেরোল। এটা তারেক জিয়ার নিজ সমস্যা, তিনিই সমাধান খুঁজবেন। কিন্তু সরকার বিষয়টি নিয়ে এতটা মিডিয়া ক্রেজি হওয়ার দরকার ছিল বলে মনে হয় না। তাতে মানুষ ও কূটনৈতিক পাড়ার লোকেরা হেসেছে। তারেক জিয়া অবশ্যই প্রতিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ। এটা হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রয়েছে, তারা তারেককে জিয়া পরিবারের উত্তরাধিকারী ভাবতে পছন্দ করে। কখনো তার স্ত্রীকেও বিএনপির রাজনীতির উত্তরাধিকারী বানাতে পারলে যেন খুশি হয়। এর মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়ে যায়, জিয়া পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বড় ফ্যাক্টর বটে। প্রতিপক্ষ এটা হিসাব করে বিবেচনায় রাখতে চায়। চায় বলেই ‘লন্ডন ষড়যন্ত্রের’ খবর পাই। মাঝে মধ্যে তার উড়ো বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। আবার কথায় কথায় তাকে আলোচনার প্রসঙ্গ বানানো হয়।
আমাদের ঔৎসুক্যের কারণ, তারেক জিয়া যেন অনেকটা দ্রুতই রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ঢুকে পড়লেন। সরকারি দলই খালেদা জিয়ার বদলে তারেককে সামনে এনে দাঁড় করানোর দায় নিচ্ছে। এটাই বোধ করি রাজনীতির অলিখিত ব্যাকরণ। নিজে না চাইলেও সময় তাকে টেনে আনে; আলোচনায় তুলে একসময় প্রতিপক্ষই রাজনীতির অঙ্গনে তাকে পরিচিত করে তোলে। এটাকে ‘তারেক ফোবিয়া’ বলা হবে না তারেক জ্বর বলা হবে, সেটা ভাবার দায় রয়েছে। তবে তারেক প্রসঙ্গ আজ তোলা থাক।
‘বাংলাদেশের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে ভারত’, এটি দিল্লি থেকে আসা খবর। মোদি-কাদের বৈঠকের নির্যাস; অথচ বাংলাদেশের কোনো সুখে ভারত থাকেনি। কোনো দুঃখে পাশে দাঁড়ায় কি? এর মূল্যায়ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তারেক বা খালেদা প্রসঙ্গ দেশজ। মোদি দেশজ নন, লাগোয়া পড়শি। কেউ ইচ্ছে করলে আমাদের সুখের একটি তালিকা বানাতে পারেন, পারেন দুঃখের আরেকটি তালিকা প্রস্তুত করতে। এরপর মিলাতে বসা যাক- ভারত কোন সুখে সাথে ছিল, কোন দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। আশা করি, হিসাব মেলানো সহজ হবে। অঙ্কটা কোনো স্কুলপড়–য়া শিক্ষার্থীও মেলাতে পারবে। আপাতত পড়শি ভারতের সাথে অঙ্ক মিলে গেলে আমাদের রাজনীতির অঙ্কও মিলে যাবে। এর দায় সরকারের যেমন আছে, তেমনি আছে বিরোধী দলের। এ হিসাব করার পর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবতে বসুন, তারেক জিয়ার ভাগ্য কী হবে তখন চিন্তা করুন। বেগম জিয়ার ললাটের লিখনটাও কেউ ইচ্ছে করলে গভীর দৃষ্টিতে পড়ে দেখতে পারেন। তখন আমাদের রাজনৈতিক ভাগ্যের কুষ্টিনামা মেলানো সহজ হবে। তবে সব কিছুর মূলে জনগণ। তারা যদি আসল অবস্থা বুঝে ফেলে তখন জাতির ভাগ্য ঠেকায় কে। এই লেখা যখন শেষ করছি, তখন মে মাস শুরু হয়ে গেছে। সামনে রোজা। এ মাসে বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসে। এক ধরনের ধর্মীয় আবহ সৃষ্টি হয়। রাজনীতিতেও আসে কিছু পরিবর্তন। ইফতার সংস্কৃতি রাজনীতিকে ভিন্নমাত্রা দেয়।
আমাদের আশা, রোজা আসার আগেই রাজনীতিতে একটা সংযমের আবহ সৃষ্টি হবে এবং গণতন্ত্রের চর্চায় সবাই ভূমিকা রাখবেন। জাতি যেন রোজার মাসে এমন একটা পরিবেশ পায়, যে পরিবেশ হবে কাক্সিক্ষত ও পবিত্র। আইনশৃঙ্খলা হবে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য। খুন-গুম-হত্যাসহ অপরাধপ্রবণতা কমার জন্য সবাই সচেষ্ট হবেন। জুলুম-অত্যাচার কমার জন্য সরকার বাড়তি উদ্যোগ নেবে। বিরোধী দল ও মতকে গণতন্ত্রের মানদণ্ডে শুধু সহ্য করা হবে না, প্রতিপক্ষের প্রাপ্য সুযোগগুলো অবারিত করে দেয়া হবে। নৈতিক দায়বোধ থেকে রাজনীতি-সমাজনীতি-অর্থনীতি-ব্যবসানীতি সব কিছু চলার, চালানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। ব্যাংক লুণ্ঠনের প্রক্রিয়া এবার না হয় থামুক।
সবচেয়ে বড় আবেদন থাকবে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে। তাদের পাশে দাঁড়ান। রোজার মওসুমে তাদের সেহরি-ইফতার-ফিতরা ও জাকাতে শরিক করার পরিকল্পনা নিতে হবে। আশা থাকবে, মে দিবসের আহ্বান অনুযায়ী শ্রমজীবী মানুষের প্রতি মমত্ববোধ বাড়বে। সেই সাথে রোজা যে আহ্বান নিয়ে আসবে, এ দুটোর মেলবন্ধনে জাতি প্রতিহিংসার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সামগ্রিক অর্থে মানবিক বোধসম্পন্ন হওয়ার অঙ্গীকার করুক। এর সুফল পাক আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও জাতির বৃহত্তর অংশ, যারা শুধু বঞ্চনার শিকার নন এই মুহূর্তে পরিবর্তন প্রত্যাশীও।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন