
রাজধানীর বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। আজ রোববার সকালের দিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজির দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। তবে দিন গড়িয়ে বিকেলের দিকে দাম কমে যায়। সন্ধ্যার দিকে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকার আশপাশের দরে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকাতেও বেশ বৃষ্টিপাত হয়েছে সম্প্রতি। এই দুই কারণে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমেছে। এ ছাড়া বৃষ্টি দেখে আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতারাও বাড়তি দাম নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বৃষ্টি হলে ক্ষেতে পানি জমে। মরিচ গাছের গোড়ায় পানি জমলে গাছ মরে যায়। এতে ফলন কম হয়।
গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু দুই দিন ধরে দাম বাড়ছে। গতকাল ঢাকার নাখালপাড়া ও কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) কাঁচা মরিচ বেচাকেনা হয়েছে ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকা দরে। সকালের দিকে খুচরা পর্যায়ে মানভেদে এই মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দরে, যারা পোয়া (২৫০ গ্রাম) হিসাবে কিনেছেন কিংবা মহল্লায় ভ্যান থেকে কিনেছেন, তাদের কিছুটা বেশি খরচ করতে হয়েছে। প্রতি পোয়া বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। সেই হিসাবে প্রতি কেজির দাম ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে সন্ধ্যার দিকে কেজি নেমেছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়।
মগবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ভ্যান থেকে এক পোয়া মরিচ কিনেছি ৭৫ টাকায়। মরিচের দাম এত হলে মানুষ চলবে কীভাবে?’
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সময়ে বগুড়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও রংপুরে বেশি কাঁচা মরিচ হয়। তবে অনেক জায়গায় অতিবৃষ্টির কারণে এবার ফলন কমেছে। এ কারণে সরবরাহ কমায় দাম কিছুটা বড়েছে।
বাজারে এখন দেশি কাঁচা মরিচের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচও পাওয়া যাচ্ছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, ‘দুই-তিন দিন ধরে মরিচের দাম বাড়ছে। বন্যার কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে মরিচ কম আসছে। ভারতীয় মরিচ না আসলে দাম আরও বেশি হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকালের দিকে কাঁচা মরিচ খুচরায় ৩০০ টাকার কাছাকাছি কেজি দরে বিক্রি করেছেন। শেষবেলায় দাম অনেকটা পড়ে গেছে; কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০, ২২০, ২৩০ টাকা দরে।’
আজ থেকে বাজারে দেশীয় কাঁচা মরিচের সরবরাহ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। তাই সামনের দিনগুলোতে দাম কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন।