টক শো রিভিউ
বিতর্ক থামান, এসব নিয়ে মানুষের আগ্রহ নেই
30 December 2014, Tuesday
একটি বিষয়েই তর্ক-বিতর্ক করে আমরা সারাজীবন শেষ করব। এসব আর মানুষ শুনতে চায় না। স্বাধীনতার ৪৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। দেশ একটি অবস্থানে পৌঁছেছে। এখন দেশে মানুষের সংখ্যা ১৬ কোটিরও বেশি। কে রাজাকার আর কে মুক্তিযোদ্ধা- এসব শুনতে মানুষ আগ্রহী নয়। এখন রাজনীতি করে এমন লোকের সংখ্যা বড়জোর ৫০ হাজার। এর বেশি হলে এক লাখ হবে। হয়তো তার চেয়ে কিছু বেশি হবে। তবে সত্যিকার ভাবে যারা সাধারণ মানুষ তারা এসব শুনতে একেবারেই আগ্রহী নয়। গত রবিবার এটিএন বাংলায় সাংবাদিক শ্যামল দত্তের উপস্থাপনায় অন্যদৃষ্টি অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব ও কূটনীতিক মোফাজ্জল করিম এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অধ্যাপক আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। মোফাজ্জল করিম বলেন, দেশে এখন প্রচুর খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা বিদেশ যাচ্ছে। টাকা উপার্জন করছে। মাটির বাড়ি পাকা হচ্ছে। পাকা বাড়ি দ্বিতল হচ্ছে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছে আর গ্রামে বসেই মুহূর্তে সে টাকা পেয়ে যাচ্ছে। মানুষ এখন এসব গল্প শুনতে ভালোবাসে। এসব গল্প শুনতে বা এসব বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক শুনতে মানুষ আগ্রহী। কিন্তু কে প্রথম জিয়াউর রহমানকে গালি দিল, কে কাকে রাজাকার বলে উপাধি দিল, সমালোচনা করল, কেন জিয়াউর রহমানকে আইএসআই-এর এজেন্ট বলা হলো এসব বিষয়ে মানুষ আর শুনতে আগ্রহী নয়। তারপরও বলব আল্লাহরস্তে এসব অপপ্রলাপ বন্ধ করুন। তিনি বলেন, আমরা ড্যান মজীনাকে যতই কাজের বেটি মর্জিনা বলি না কেন তিনি শুরু থেকে যে কথা বলে এসেছেন, চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তেও সেই কথাই বলে গেছেন। তবুও আমরা মজীনার দালালি করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখন সেই মান্ধাতা আমলের সেনাবাহিনী নেই। তারা এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়ে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। এই সেনাবাহিনী নিয়েও কতজনে কত কথা বলেছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এসব কথায় কান দেয়নি। তারা সৌরভে-গৌরবে দেশের জন্য কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে।
তারা বেগম জিয়ার কথায়ও চলে না, শেখ হাসিনার কথায়ও চলে না। তারা তাদের শৃঙ্খলায় চলে।পে-কমিশনের সমালোচনা করে মোফাজ্জল করিম বলেন, পে-কমিশন হওয়ার কারণে আমি খুশি। এ জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। যদিও আমি ১৬ বছর আগে অবসর গ্রহণ করেছি সরকারি চাকরি থেকে। তাই এ সুবিধা আমি পাব না। আমার কাজে আসবে না। তারপরও আমার ভালো লাগছে একসময় সরকারের কর্মচারী ছিলাম বলে। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তাদের টাকার অভাব নেই। টাকা চলে আসবে। মন্ত্রীই জানেন কত হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। পে-কমিশনের মাধ্যমে এক লাফে দ্বিগুণ বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হলো। এখন যে টাকা দেওয়া হবে এ টাকায় এক পয়সাও সরকারি কর্মচারীদের অংশগ্রহণ নেই। এমন না যে, বাংলাদেশে যে আয় হচ্ছে, যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, যে অর্জন হচ্ছে, জিডিপি বাড়ছে এটা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে আমাদের কৃষকের খাদ্য উৎপাদনের কারণে, গার্মেন্ট শ্রমিকদের পোশাক উৎপাদনের কারণে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন