বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উপস্থিতি এখন নিয়মিত দৃশ্য। বিপিএল চললেও এর মধ্যেই রিশাদ হোসেন খেলছেন বিগ ব্যাশে, আর সম্প্রতি আইএল টি-টোয়েন্টি শেষ করে দেশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। ওই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানও, যদিও বর্তমানে তিনি বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই।
আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজা ওয়ারিয়র্সের হয়ে ছয় ম্যাচে নয় উইকেট শিকার করেন তাসকিন। পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় কিছু সময় কাটিয়ে বিপিএলের জন্য তিনি যোগ দেন সিলেটে, ঢাকা ক্যাপিটালসের ক্যাম্পে। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে কৃতজ্ঞতা জানান এই পেসার।
তাসকিনের মতে, ভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা নিজের খেলাকে সমৃদ্ধ করে। তিনি বলেন, আলাদা সংস্কৃতি, কোচিং পদ্ধতি ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান ক্রিকেটার হিসেবে উন্নত হতে সহায়তা করে। বোর্ডের এনওসি নীতিকে তিনি ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।
নিজের আইএল টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তাসকিন জানান, টুর্নামেন্টটি বোলারদের জন্য সহজ ছিল না। প্রতিটি দলে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ থাকায় চ্যালেঞ্জ ছিল বড়। তবে এই অভিজ্ঞতা তাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, আইএল টি-টোয়েন্টিতে আট ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে আলোচনায় ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এক পর্যায়ে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদাও তাঁকে ঘিরে।
আসন্ন আইপিএলে মোস্তাফিজকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ মূল্য। বিষয়টি নিয়ে তাসকিনের মন্তব্য স্পষ্ট। তাঁর ভাষায়, মোস্তাফিজ বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বহুবার। আইপিএল ও আইএল টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে এই মূল্য তার প্রাপ্য। বরং আরও বেশি পারিশ্রমিক পেলেও সেটি অস্বাভাবিক হতো না বলেই মনে করেন তাসকিন।
তাসকিনের মতে, মোস্তাফিজ শুধু ৯ কোটিতেই সীমাবদ্ধ নন, বর্তমান ফর্ম ও অভিজ্ঞতায় তিনি আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আরও বড় মূল্য পাওয়ার দাবিদার।