একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বাসভবনকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল বলে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। তবে এ দাবি কিয়েভ সঙ্গে সঙ্গে নাকচ করেছে।
নভগোরোদ অঞ্চলে কথিত এই হামলার ফলে ‘রাশিয়ার আলোচনার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করা হবে’ বলে চলমান শান্তি আলোচনার প্রসঙ্গে জানিয়েছেন সেরগেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি, তবে ‘প্রতিশোধমূলক হামলার’ জন্য রুশ সশস্ত্র বাহিনী লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সঙ্গে সঙ্গে এই দাবিকে রাশিয়ার ‘সম্পূর্ণ বানানো গল্প’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন।
জেলেনস্কি উল্লেখ করেন, দাবি করা ঘটনাটি ঘটে তার আগের দিন, যখন তিনি ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন।
আলোচনায় বড় কোনো অগ্রগতি না হলেও, শান্তি পরিকল্পনার সর্বশেষ সংস্করণে দুই নেতা এ বিষয়ে একমত হন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য ১৫ বছরের গ্যারান্টি দেবে এবং সেই গ্যারান্টি বাড়ানোর অপশনও থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি এক্সে পোস্ট করে বলেন, ‘রাশিয়া আবারও শুরু করেছে—প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দলের সঙ্গে আমাদের যৌথ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সব অর্জনকে ক্ষুণ্ন করতে বিপজ্জনক বক্তব্য ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ৯১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং তখন পুতিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি দাবি করেননি।