২০১৮ সালে নেশনস লিগ চালু করে উয়েফা। আন্তর্জাতিক বিরতিতে সদস্যদেশগুলো যেন তথাকথিত ‘অর্থহীন’ প্রীতি ম্যাচ না খেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলতে পারে—এই ভাবনা থেকেই টুর্নামেন্টটির আয়োজন। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে দলগুলোকে কয়েকটি স্তরে ভাগ করে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। এরই মধ্যে নেশনস লিগের চারটি আসর হয়ে গেছে।
এবার উয়েফার পথেই হাঁটতে যাচ্ছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এএফসি জানিয়েছে, ৪৭টি সদস্যদেশ নিয়ে তারা নেশনস লিগ চালু করতে যাচ্ছে। লক্ষ্য একটাই—এশিয়ার জাতীয় দলগুলোকে নিয়মিত ও মানসম্পন্ন প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দেওয়া।
ঠিক কবে এই নেশনস লিগ শুরু হবে, তা জানায়নি এএফসি। তবে তারা নিশ্চিত করেছে, বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের বাইরে ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতিতেই এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
এএফসির জেনারেল সেক্রেটারি দাতুক সেরি উইন্ডসর জন নেশনস লিগের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের ৪৭টি সদস্যদেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে এএফসি নেশনস লিগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতিতে এমন কাঠামোর একটি টুর্নামেন্ট ফুটবল সূচিকে আরও আকর্ষণীয় করবে এবং মানসম্পন্ন ম্যাচ উপহার দেবে। একই সঙ্গে জাতীয় দলগুলো অবকাঠামো ও আর্থিক উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দিতে পারবে।’
এএফসির সদস্যদেশ ৪৭টি হলেও বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে ৪৬টি দেশের নাম। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ড এই তালিকায় নেই। সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৬ নম্বরে।
উয়েফার মতো যদি এএফসি চার স্তরের নেশনস লিগ চালু করে, তাহলে বাংলাদেশকে খেলতে হতে পারে তৃতীয় বা চতুর্থ স্তরে। সেখান থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে ওপরে ওঠার সুযোগ থাকবে।