Image description

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জমায়েত নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, সেখানে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা হয়নি।

ময়মনসিংহে পোশাক শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস হত্যার প্রতিবাদে শনিবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন যুবক। রোববার এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচার লক্ষ্য করা গেছে। বাস্তবতা হলো, হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়ে দিপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার দাবি জানান।’

 
 

মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো পর্যায়েই তারা (প্রতিবাদকারীরা) নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেননি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসব ঘটনার ভিজ্যুয়াল প্রমাণ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আছে।’

ভারত ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বিদেশি মিশন ও পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, শনিবার দিল্লিতে হাইকমিশনারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভারতের পক্ষ থেকে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি।

বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর ভারত নজর রাখছে। কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। আহ্বান জানানো হয়েছে, দিপু দাস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার।