 
              পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান শেষ দেড় বছর ধরে দেশে পা রাখতে পারছেন না। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে আর সব আওয়ামী সংসদ সদস্যের মতো তিনিও পলাতক আছেন। তার নামে আছে একাধিক মামলাও। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাকে নিয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, তার মতো ‘অপরাধী’ ক্রিকেটার ১০০ বছরেও আর আসবে না।
ক্রিকেটার পরিচয়ের কারণে এখনো সাকিবের গুণগ্রাহীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তেমনই একজন বিসিবিতে পরিচালক হয়ে আসা আসিফ আকবর। তিনি বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিবকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রীতিমতো।
তিনি বলেন, ‘সাকিবের ব্যক্তিত্ব, ব্যক্তিগত ইস্যুগুলো ওর ব্যাপার। ব্যক্তিগতভাবে খারাপ কি ভালো সেটা অন্য ইস্যু। সেটার জন্য কোর্ট, সমাজ আছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের ব্র্যান্ড। আগামী ১০০ বছরে একটা সাকিব পাব কি না, আমরা জানি না। তবে সাকিব আল হাসান ইজ সাকিব আল হাসান।’
বিষয়টি নজরে পড়েছে প্রেস সচিব শফিকুল আলমেরও। তিনি ফেসবুকে সে পোস্ট শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘কথা সত্য। আগামী ১০০ বছরেও এই রকম খুনি-পূজারী, চোর চোট্টা ও স্টক মার্কেট ডাকাত ক্রিকেটার আসবে না।’
সাকিবের বিরুদ্ধে শফিকুল আলমের এমন অবস্থান অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের সর্বকালের সবচেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটার হতে পারেন। কিন্তু প্রতিভা ও জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করা কিন্তু দায়মুক্তি দেয় না। একটি সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে—যাদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে—তিনি দেশের ইতিহাসের কিছু অন্ধকার অধ্যায়কে বৈধতা দিয়েছেন। এই মুহূর্তে, তার কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা হল লোভ। তার রাজনৈতিক পদক্ষেপে বিতর্কিত ব্যক্তিত্বদের সাথে তার সম্পর্ক সবকিছু একই দিক নির্দেশ করে। সেটি হলো ব্যক্তিগত লাভ, জনসেবা নয়।’
 
       
                 
                
 
                                                  
                                                  
                                                  
                                                  
                                                 