ঘরের মাঠেই টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২০ বলে ১৬৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিপাকে বাংলাদেশ। ৪১ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতে মাত্র ৫ বলে ১৫ রান করে রোমারিও শিপার্ডের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তার বিদায়ে ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দলীয় ২৯ রানে ফেরেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তিনি স্পিনার আকিল হোসেনের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ৮ বলে ৫ রানে ফেরেন।
দলীয় ৩৯৮ রানে আউট হন আরেক ওপেনার সাইফ হাসানও। তিনি ৭ বলে ৮ রান করে আকিল হোসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন।
এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ফেরেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। তিনি জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ৪ বলে ১ রানে ফেরেন। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৫.৩ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল।
এর আগে শাই হোপ এবং রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাটিং তাণ্ডবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
১৫ ওভার খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ১০১/৩ রান। তখন মনে হয়েছিল; সাধ্যের মধ্যেই থাকবে স্কোর। কিন্তু শেষ ৫ ওভার তথা ৩০ বলে একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬৪ রান করে ক্যারিবীয়রা।
শাই হোপ এবং রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৩ উইকেটে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ক্যারিবীয়রা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে ১২০ বলে ১৬৬ রান করতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান করা উইন্ডজ; এরপর মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায়। ক্যারিবীয় শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তিনি ৫৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙেন।
রিশাদের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার আলিক অ্যাথানেজ। তার বিদায়ে ৮.২ ওভারে ৫৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে ক্যারিবীয়দের।
এরপর ১৩তম ওভারে দলীয় ৮২ রানে পরপর দুই বলে ব্রান্ডন কিং ও শেরেফান রাদারফোর্ডকে ফেরান তাসকিন আহমেদ।১৩তম ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করে ২ উইকেট তুলে নেন তাসকিন।
এরপর অধিনায়ক শাই হোপের সঙ্গে জুটি গড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রোভম্যান পাওয়েল। চতুর্থ উইকেটে তারা ৪৬ বলে ৮৩ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন। তাদের এই জুটির কারণেই ১৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় ক্যারিবীয়রা।
ইনিংসের শেষ ৫ ওভারে ৬৪ রান করে উইন্ডিজ। শেষ ওভারে তানজিম হাসান সাকিবকে পরপর তিন বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২২ রান আদায় করে নেন রোভম্যান পাওয়েল। তিনি মাত্র ২৮ বলে এক চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। সমান ২৮ বলে এক চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শাই হোপ।
এই সিরিজের আগে মিরপুরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
আগামী বছর ভারত ও শ্রীলংকার মাঠে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর আগামী মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে টাইগাররা। এই দুই সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার পরিকল্পনা বাংলাদেশের।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুর্দান্ত ছন্দে আছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ চার সিরিজই জিতেছে টাইগাররা। শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের পর সর্বশেষ সিরিজে আফগানিস্তানকে হারায় টাইগাররা।
চলতি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টানা পঞ্চম সিরিজ জিততে মরিয়া বাংলাদেশ।