Image description

ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে দুর্দান্ত জয়ের পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বাংলাদেশ দল। এবার চট্টগ্রামে সোমবার (২৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সবমিলিয়ে, ঘরের মাঠে টানা পঞ্চম দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুযোগ টাইগারদের সামনে।

অবশ্য, এই সিরিজ দিয়েই আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে টাইগাররা। আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান সিরিজ শেষে আগামী মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এই দুই সিরিজকেই বিশ্বকাপের মূল প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফরা।

গত জুলাই থেকেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুর্দান্ত সময় পার করছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর এশিয়া কাপে ব্যর্থতার মিশন সত্ত্বেও আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে লিটন দাসের দল। এবার তাদের সামনে টানা পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। এছাড়া সাম্প্রতিক পারফরমেন্স ও সর্বশেষ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের সুবাদে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ফেভারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুই সিরিজকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। লিটন বলেন, ‘সত্যি বলতে, সামনের দুই সিরিজ আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। এই দুই সিরিজে ভালো পারফরমেন্স করলে বিশ্বকাপে আমরা উপকৃত হব।’

অন্যদিকে, টানা ৭টি টি-টোয়েন্টি সিরিজবঞ্চিত ওয়েস্ট ইন্ডিজও মরিয়া নিজেদের হারানো ছন্দ ফিরে পেতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান অধিনায়ক শাই হোপ এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছেন।

দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডেতে হেরেও টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, আমরাও এবার সেটা করতে চাই।’

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিততে পারলে জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে ক্যারিবীয়দের সমানে চলে আসবে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ১৯ বার। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৮ ম্যাচে, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ৯টিতে। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল।