
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এবার এগিয়ে আসছে ফুটবল। শুধুই খেলাধুলা নয়, এটি এখন পুনর্গঠনের প্রতীকও। মিসরের শারম আল-শাইখে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনের পর বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা ঘোষণা দিয়েছে—গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুটবল অবকাঠামো পুনর্গঠনে তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়া সফল করতে ফুটবলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গাজার ফুটবল অবকাঠামো পুনর্গঠনে সহায়তা করব, শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে নতুন করে আশার আলো দেখাব।’
ইনফান্তিনো জানান, গাজা ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য অঞ্চলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ফুটবল সুবিধা পুনরায় নির্মাণে ফিফা তহবিল গঠন করবে। এর আওতায় নতুন পিচ, যুব উন্নয়ন প্রকল্প ও ছোট আকারের ‘ফিফা অ্যারেনা’ স্থাপন করা হবে। তার ভাষায়, ‘ফুটবলের ভূমিকা হলো ঐক্য সৃষ্টি, সহায়তা ও আশা জাগানো। আমরা গাজায় ফুটবল ফিরিয়ে আনব, শিশুদের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনব।’
তিনি আরও আহ্বান জানান, এই উদ্যোগে যেন অন্য সংস্থা ও অংশীদাররাও যুক্ত হয়। ইনফান্তিনোর মতে, ‘ফুটবল শিশুদের জীবনে আলো নিয়ে আসে, তাই এটি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
এর আগে, ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ) বারবার ফিফাকে আহ্বান জানিয়েছে—ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে স্থগিত করতে। তাদের অভিযোগ, দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি ক্লাবগুলো খেলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক নিয়মের লঙ্ঘন।
যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ফিফা। সংস্থার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভিক্টর মন্টাগলিয়ানি সম্প্রতি জানান, বিষয়টি ফিফার আইন বিভাগে আলোচনায় আছে, তবে এখনো কোনো বিশ্লেষণ বা সিদ্ধান্ত সামনে আসেনি।
ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনোর মতে, যুদ্ধোত্তর সময়টাতে ফুটবল কেবল একটি খেলা নয়—এটি মানবতার পুনর্জাগরণের প্রতীক। আর গাজার মাঠে আবারও যখন বাচ্চারা দৌড়াবে, সেটিই হবে শান্তির সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য।