
প্রথম ওয়ানডেতে হেরে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। আজ হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। এমন কঠিন সমীকরণেরে ম্যাচে আজ দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে ১৯০ রানে অলআউট করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে টাইগাররা। আজ জিতলে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরবে বাংলাদেশ।
শনিবার আরব আমিরাতের আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান। ইনিংসের শুরু থেকে উইকেট হারালেও ওপেনার ইবরাহিম জাদরানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রান করে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন ইবরাহিম।
আজ আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করার মধ্য দিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন সাকিব। তার বলে ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা জাকের আলির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন গুরবাজ। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৪.৫ ওভারে ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেলেন তানভীর ইসলাম। নবম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরিয়েছেন সাদিকউল্লাহ অটলকে। লং অনে ক্যাচটি নিয়েছেন তানজিম হাসান। ৮.৪ ওভারে ৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল আফগানিস্তান। ১৩ বলে ৮ রান করেছেন অটল।
৯ বলে ১১ রান করে ব্যথা পেয়ে সাজঘরে ফেরেন আফগান মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। রান নেওয়ার সময় ব্যথা পেয়ে মাঠে শুশ্রুষা নিলেও কাজ হয়নি। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়ে গেছেন ফিজিওর সঙ্গে।
রহমত শাহ ফেরার পর ব্যাটিংয়ে নামেন আফগান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শহীদি। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বলে কভার অঞ্চল দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন হাশমত। কিন্তু টাইমিং মিস করায় বলটি গিয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে। পরিস্কার বোল্ড হয়ে ১২ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন হাসতে হাসতেই সাজঘরে ফেরেন হাশমতউল্লাহ শহিদি।
১৮.৪ ওভারে দলীয় ৭৯ রানে রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাকে স্লিপে থাকা তানজিদ হাসানের ক্যাচ বানিয়েছেন রিশাদ।৩ বলে শূন্য রানে ফেরেন আজমত।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইনিংসের শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন দিচ্ছেন ওপেনার ইবরাহিম জাদরান। তিনি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৮তম ম্যাচে অষ্টম ফিফটি হাঁকিয়ে সপ্তম সেঞ্চুরির পথে হাঁটেন। কিন্তু শেষ দিকে দলের স্কোর মোটাতাজা করার জন্য বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন ইবরাহিম। তিনি ১৪০ বলে তিনটি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে করেন ৯৫ রান।