Image description

বিসিবি নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। তবে নাটকীয়তা শেষ হয়নি এখনও। এবার তামিম ইকবালসহ নির্বাচন বয়কট করা ক্লাব সংগঠকরা নতুন এক অধ্যায় যোগ করলেন তাতে। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কমিটিকে অবৈধ তকমা দিয়ে তাদের অধীনে থাকা বিদ্রোহী ৪৮টি ক্লাব দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সরে গেছে।

নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে গত শনিবার ক্লাব নির্বাচন পেছানোসহ ৩টি শর্ত জানিয়েছিলেন সংগঠকরা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছেও স্মারকলিপি গিয়েছিল তাদের পক্ষ থেকে। দাবি উঠেছিল– বিসিবি’র বর্তমান (বিগত) নির্বাহী পর্ষদের সময় বাড়িয়ে নির্বাচনের পুনঃতফসিল, বিকল্প হিসেবে অ্যাডহক কমিটির কাছে দায়িত্ব দেওয়া ও পুনঃনির্ধারিত সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণ করা।

তবে তাদের এই হুমকি পাত্তা না দিয়ে গেল ৬ অক্টোবর নির্বাচন হয়। সেখানে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন আমিনুল। তারই প্রতিবাদ হিসেবে আজ ঘরোয়া ক্রিকেটের বয়কটের ডাক দিয়েছেন সংগঠকরা। বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন মোহামেডান ক্লাবের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা একই কথা বলতে বলতে ক্লান্ত। আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে ৬ তারিখের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে। এই বয়সে আমরা বহু সরকার দেখেছি, বিতর্কিত নির্বাচন দেখেছি, রাতের ভোট এবং দিনে কারচুপি দেখেছি। সব কিছুকে ছাপিয়ে সবার সামনেই এবারের (বিসিবি নির্বাচনে) ভোট হলো। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাদের কথা যেহেতু তাদের কানে পৌঁছায়নি, সেজন্য আমরা আসন্ন সব প্রতিযোগিতা বর্জন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ থেকে ক্রিকেট সৌন্দর্য হারিয়েছে। আপনারা যদি এভাবে চলতে চান আমরা ক্রিকেট খেলব না। একই বিষয় জেলা ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও। এখানে জেলা প্রতিনিধি আছেন রেদওয়ান ভাই। আমরা জেলা পর্যায় থেকেও ক্রিকেট বর্জন করব এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপনারা যারা ক্লাব প্রতিনিধি আছেন কাউকে যদি হুমকি দেওয়া হয়, ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলা হয় তবুও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি।’