Image description

গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রতিবাদে এবার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছে ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে তুরস্ক। উয়েফার সদস্য হিসেবে তুরস্কই প্রথম দেশ, যারা প্রকাশ্যে এমন দাবি তুলল। তুর্কি ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান ইব্রাহিম হাচিওসমানোগলু এ বিষয়ে উয়েফা ও ফিফাকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে হাচিওসমানোগলু ক্রীড়া বিশ্বের দীর্ঘ নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন,‘এখন সময় ফিফা এবং উয়েফার ব্যবস্থার নেয়ার। নিজেদেরকে নাগরিক মূল্যবোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষের দাবি করলেও ক্রীড়া বিশ্ব ও ফুটবল প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ সময় ধরে চুপ হয়ে আছে।’

গাজার জরুরি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তুর্কি ফুটবল প্রধান বলেন,‘ফুটবল সবসময় একটি খেলার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এটি একটি সর্বজনীন ভাষা যা বিভিন্ন সংস্কৃতিকে একত্রিত করে... এই মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়ে, আমরা ইসরাইল রাষ্ট্র কর্তৃক গাজা এবং এর আশপাশের এলাকায় চালানো অবৈধ (এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, সম্পূর্ণ অমানবিক এবং অগ্রহণযোগ্য) পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি।’

ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করতে উয়েফার ভেতরে ভোটাভুটির গুঞ্জন থাকলেও হাচিওসমানোগলু সংস্থাটির ২০ সদস্যের পরিচালনা কমিটিতে নেই। বরং ইসরাইল ফুটবলের প্রধান মোশে জুয়ারেস সেই কমিটিতে আছেন। তবে উয়েফা চাইলেও ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

ট্রাম্প চান না আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপ থেকে ইসরাইল নিষিদ্ধ হোক। ইতোমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরাইলকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেয়ার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করবে। আগামী সপ্তাহে জুরিখে ফিফার ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এর আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ইসরাইলকে নিষিদ্ধের আওয়াজ তুলেছিলেন, তবে সেটি দেশের ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নয়।